আন্তর্জাতিক

মুকেশ-ট্রাম্পের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ, কাতারে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে ব্যবসা-কূটনীতির মেলবন্ধন

Mukesh-Trump's second meeting, business-diplomacy blend at state dinner in Qatar

Truth Of Bengal: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আয়োজিত এক রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে একসঙ্গে কাটালেন বেশ কিছুটা সময়। লুসাইল প্রাসাদে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উভয়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা হয়। বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন আম্বানি।

এর আগে জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এবং তার আগের রাতে আয়োজিত একটি নির্বাচিত মোমবাতি-আলো নৈশভোজেও অংশ নিয়েছিলেন ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রাসাদে প্রবেশের আগে আম্বানিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। তাকে কাতারের আমির এবং মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডোর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্ত কাটাতেও দেখা যায়।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর বরাতে জানা যায়, রাতের নৈশভোজটি ছিল একটি তারকাখচিত জমকালো অনুষ্ঠান, যেখানে ট্রাম্প ও আমির অতিথিদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় এক ঘণ্টা সময় দেন। উপস্থিত ছিলেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, নিউসম্যাক্স প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস রাডি ও ব্ল্যাকস্টোনের সিইও স্টিফেন শোয়ার্জম্যানসহ বিশ্বের নামকরা ব্যবসায়ী নেতারা।

নৈশভোজের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারকে আহ্বান জানান, তারা যেন ইরানের ওপর তাদের কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তেহরানকে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে উৎসাহিত করে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ট্রাম্পের চলমান সফরেরই অংশ।

এ সফরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং-এর কাছ থেকে ২১০টি ওয়াইডবডি জেট কেনার চুক্তি করেছে। অন্যদিকে, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে $৬০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ এবং $১৪২ বিলিয়নের অস্ত্র ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি গালফ অঞ্চলে—বিশেষত সংযুক্ত আরব আমিরাতে—চলমান সেমিকন্ডাক্টর ও প্রযুক্তি বিনিয়োগ কার্যকর হয়, তবে অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রে তৃতীয় বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে, অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কাতারে তার উপস্থিতি ভারতীয় ব্যবসায়িক স্বার্থ ও গালফ অঞ্চলের পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Related Articles