বড়দা গ্রামে হাতির হানা, আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন একাধিক মানুষ
Elephant attack in Barada village, several people left their homes in fear

Truth Of Bengal: ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বড়দা গ্রামে ফের একবার ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ করেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এক দলছুট দাঁতাল হাতি প্রবেশ করে গ্রামে এবং চালায় ব্যাপক ভাঙচুর। আচমকা হাতির উপস্থিতিতে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান গ্রামের বহু মানুষ। আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকাজুড়ে।
বড়দা গ্রামে হাতির হানা, আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন একাধিক মানুষ pic.twitter.com/IZrZoU82J9
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) May 13, 2025
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতিটি একাধিক মাটির বাড়ি এবং সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে দেয়। শুধু ঘরবাড়ি নয়, হাতির হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল, ঘরের আসবাবপত্রও। রাতভর চলতে থাকে এই ধ্বংসাত্মক দৃশ্য। তবে এর মধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা সাহস দেখিয়ে হাতিটিকে গ্রাম থেকে তাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বহু সময়ের চেষ্টায় তাঁরা শেষমেশ হাতিটিকে গ্রামছাড়া করতে সক্ষম হন।
এই ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভের উ ঘটেছে বনদফতরের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বারবার এই গ্রামে হাতির হানা সত্ত্বেও বনদফতর কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এই তাণ্ডব চলাকালীন বা পরবর্তী সময়েও কোনও বনকর্মী ঘটনাস্থলে আসেননি। ফলে গ্রামের মানুষদেরকেই নিজেরাই রক্ষা করতে হচ্ছে নিজেদের।
উল্লেখ্য, বড়দা গ্রামের মতো জঙ্গলঘেরা বহু গ্রামেই প্রতিবছরই দাঁতাল হাতিদের হানা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তবুও এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সুরক্ষা বলয় বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।এলাকাবাসীর জোর দাবি, অবিলম্বে বনদফতরকে সক্রিয় হতে হবে, গ্রামে হাতির ঢোকা আটকাতে প্রয়োজন স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং জরুরি হেল্পলাইন চালু করা। না হলে প্রতিবারের মতোই এই ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।