দেশ

তাপমাত্রা ও বায়ুদূষণে ২০২৪-এ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৪১,৭৮৯, মৃত ৭৩৩!

41,789 people will suffer from heat stroke in 2024, 733 will die due to heat and pollution!

Truth Of Bengal: সারা দেশ জুরে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়ে থাকে। কোন দেশ এর উপর নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন কলকাতার জার্মান কনস্যুলেটের মহাসচিব বারবরা ভস। পরিবেশরক্ষা ও জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মরত ‘সুইচ অন ফাউন্ডেশন’–এর উদ্যোগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হ‌ওয়া আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনাসভা ও কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এর জন্যে প্রয়োজন সম্মিলিত যুদ্ধ।’

প্রতি বছর বছর বেড়েই চলেছে গড় তাপমাত্রা। পিছিয়ে নেই বায়ুদূষণ‌ও। বাতাসে ভাসমান কণাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা। ১)পিএম২.৫, ২)পিএম১০। এর মধ্যে আয়তনে বড় পিএম১০। বিগত কয়েক বছরে মহানগর ও মহানগর সংলগ্ন এলাকায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে বহু তলের সংখ্যা। তাতে আর‌ও অনেক বেড়ে গিয়েছে পিএম১০–এর পরিমাণ। তাপ আর ভাসমান কণার সমন্বয়ে গোটা দেশের স্বাস্থ্য এখন নিম্নমুখী অবস্থায় দাঁড়িয়ে। এই গুরুতর সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে একত্র হয়েছিলেন লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, আইআইটি দিল্লি, ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চ, পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, গবেষক-সহ নীতি–নির্ধারকরা।

অবস্থার ভয়াবহতা বোঝাতে গিয়ে গবেষকরা বলেন, ২০২৪–এ তাপপ্রবাহের জেরে শুধু ভারতে ৭৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে! তবে সরকারি রিপোর্টে মাত্র ৩৬০ জনের মৃত্যু উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৪–এ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভারতের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৭৮৯।

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর এপ্রিল-মে মাস মিলিয়ে একটানা ২২ দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল দক্ষিণবঙ্গে। সঙ্গে তীব্র বায়ুদূষণ‌ও। ২০২৪–এ চিকিৎসকদের কাছে সাড়ে পাঁচ কোটি সিওপিডি–র কেস এসেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫০০–র অধিক ছিল বাতাসে। আর এই বাতাসে শ্বাস নেওয়া মানে দিনে ৩০টি সিগারেট খাওয়ার সমান বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট রিসার্চ–এর ক্রিস্টিন আউনান জানান, ‘ভারত–সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্যের উপরেই মাত্রাছাড়া গরম এবং বায়ুদূষণ ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।’ সেই সঙ্গে তিনি যথেষ্ট পরিমাণে গাছ লাগা‍নোর উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নগরায়ন করার উপরও জোর দিয়েছেন।

Related Articles