
Truth Of Bengal: নানা কারণে উত্তর প্রদেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে নারী নির্যাতন ও ধরনের ঘটনা এই রাজ্যে অহরহ ঘটে। যা নিয়ে বিরোধীরা চেপে ধরে রাজ্যের শাসক দলকে। সরকারপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই দেয় সুশাসন বা আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। তবে সেটা যে মুখরক্ষার জন্য তা প্রমাণ হয়ে গেল। যোগীরাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কেমন তা আবার সামনে এল শাসক দলের এক নেতার খুনের ঘটনায়।
বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশে। গুলফাম সিং যাদব নামে ওই বিজেপি মৃত্যুর পর ফের উত্তরপ্রদেশে খুনে রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুলফাম সিং যাদব নামে ওই রাজনীতিকের ফার্ম হাউসে আচমকাই ঢুকে পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তিন দুষ্কৃতী। তারাই জোর করে বিষ মেশানো ইঞ্জেকশন দিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে খুন করে। উত্তর প্রদেশে অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন গুলফাম। সম্ভলে বিজেপির পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির তৎকালীন প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে গুন্নর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর থেকে গত ২১ বছরে দলের নানান গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বভার সামলেছেন গুলফাম। এমন প্রভাবশালী দলীয় নেতা নিজের বাড়িতে খুন হয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই চাপে বিজেপি। ফের একবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা। তবে এবার আর সরকারকে সাফাই দিতে দেখা যায়নি। উল্টে দ্রুত উচ্চপর্যায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের তরফে বলা হচ্ছে, যেখানে নিজের দলের প্রভাবশালী নেতারা রেহাই পান না সেখানে সাধারণের অবস্থা কেমন– তা সহজে বোঝা যায়। এই ইস্যুতে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি যোগী সরকারকে নিশানা করেছে। একটা সময় এনকাউন্টার পরিচিত ঘটনা ছিল উত্তর প্রদেশে। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে সমাজ বিরোধীরা। এখন আবার খুন! তা হলে কি আবারও খুনের রাজনীতি শুরু হল উত্তর প্রদেশে? প্রশ্ন বিরোধীদের।