Truth Of Bengal: বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা একপক্ষে, আর অন্যদিকে নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপি। তাদের মাঝে সেনাবাহিনী, যারা এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই অস্থিরতার মধ্যেই নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ছাত্রদল নেতা হাসনাত আবদুল্লা। তার এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, সেনাবাহিনী ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
সোমবার সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গুজব, উসকানিমূলক বক্তব্য ও রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সেনাবাহিনী গুজবে কান দেবে না এবং দায়িত্ব পালনের সময় ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখবে। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না, বরং দেশের স্বার্থেই শান্তি বজায় রাখতে হবে।”
এদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ার পথে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সেনাবাহিনীকে দীর্ঘ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে হয়, তবে এটি সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ। জামাত, ছাত্রদল ও ইউনুস সরকারের অদক্ষতা কি পরিস্থিতিকে এই পর্যায়ে এনেছে? যদিও সেনাপ্রধান পরিষ্কার বলেছেন, দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, তবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশ কি আধাসামরিক শাসনের পথে? নাকি এটি সাময়িক ব্যবস্থা? উত্তরের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ।