‘এবার বাঘ আসলে বলবে ওদের এসে ধরে নিয়ে যেতে’, কেন বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
Why did the Chief Minister say, "This time the tiger will come and tell them to come and catch them"?

Bangla Jago Desk: অমল মুন্ডা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুর দুয়ারে হাতির আক্রমণ নিয়ে এদিন মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘হাতির আক্রমণ বাড়ছে। আমি নিজে ছবি তুললাম। আমি যেখানে আছি সেখানকার। আমার গেস্ট হাউজের দেওয়ালে লেখা ট্রেসপ্যাজারদের গুলি করে মারা হবে। এটা আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে লেখা উচিত। হাতির সংখ্যা বেড়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছি। আপনারা অনেক সময় কড়া ব্যবস্থা নেন। এতে মানুষ অনেকে ক্ষুব্ধ হয়। জনগণেরও তো অরণ্য, জঙ্গল, সবুজের অধিকার আছে। পুজো বন্ধ করে দিলেন হঠাৎ করে। মানুষ আপনাদের চেনে না। মানুষ আমাদের চেনে। আপনাদের ছেড়ে কথা বলব না তাহলে আমরাও।’
বন সচিব মনোজ আগরওয়াল জানান, লেখাটা এয়ারফোর্স লিখেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের আরও সমন্বয় বাড়ানো উচিত। সারাক্ষণ তোমরা আমাকে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল দেখাবে না? আমার বাড়িতে আমি হোম স্টে করব, তাতে গ্রীন ট্রাইব্যুনাল এর কী এসে গেল? আমাদের মত বন সংরক্ষণ কে করে? বাঘকে খেতে দেয় না। বাঘ চলে আসে। আর বাঘ ধরা পড়ার পরেই বলে, এক্ষুণি ফেরত পাঠাও। এবার বাঘ আসলে বলবে ওদের এসে ধরে নিয়ে যেতে।’
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির মনোজ টিগ্গা নির্বাচিত হন। তবে বিধানসভার উপনির্বাচনে এই আলিপুরদুয়ার লোকসভার অন্তর্গত মাদারিহাট কেন্দ্রটি প্রথমবারের জন্য খাতা খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ বারবার হতাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। তবে উত্তরবঙ্গকে আরও কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার পরিকল্পনা নিয়মিত করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা থেকে সেই ভাবনা উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকে। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলায় জন্য বহু প্রকল্প দিলেন তিনি। চা শ্রমিকদের বাচ্চা রাখার জন্য ক্রেশ করা হয়েছে ২২টি। এদিনের সভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই চা বাগানের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মা বাবা সকলেই কাজে চলে যান। বাচ্চাদের দেখার কেউ থাকেনা। আবার এর মধ্যে রয়েছে চিতা আক্রমণের ভয়।
চা শ্রমিকদের বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আগেই ঘোষণা করেছিলেন তাদের বাচ্চাদের বিশেষ জায়গায় রাখার উদ্যোগ নিতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চা শ্রমিকদের বাচ্চা রাখার জন্য ক্রেশ করা হয়েছে ২২টি। তার উদ্বোধন হয়েছে এদিন। এখানে নিশ্চিন্তে বাচ্চাদের রেখে চা বাগানের কাজ করতে পারবেন বাবা-মায়েররা। বাংলার চাষ শিল্পী আঘাত আসছে নেপালের চা অবৈধভাবে প্রবেশ করায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেপালের চায়ে রাজ্যের চা শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নেপাল দিয়ে অবৈধভাবে চা ঢুকছে বাংলায়। এর ফলে দার্জিলিংয়ের চা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।