গুদামের শাটার ভেঙ্গে এ কি করছে গজরাজ !
What Gajraj is doing by breaking the shutters of the warehouse!

The Truth Of Bengal : দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম ঃ কথায় আছে, “পেটের জ্বালা বড়ই জ্বালা” সে মানুষ হোক কিংবা পশু – প্রানী। খাবারের জ্বালায় রাইস মিলের শাটার ভাঙল হাতি। ফের লোকালয়ে হাতির হানা ! হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। খবরের সন্ধানে গুদামের শাটার ভাঙলো হাতি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তবর্তী এলাকা কলসিভাঙা তে।
জানা গেছে, শুক্রবার খাবারের সন্ধানে হাতিটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে এবং হানা দেয় কলসিভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত একটি রাইস মিলে। ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হাতি এলাকায় ঢুকিয়ে হাতি দেখতে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। এবার তারা সেই মুহূর্তটাকে ক্যামেরা বন্দি ও করেন। জানা গেছে, জঙ্গলে খাবারের আকাল ফলে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতিটি। ওই এলাকায় থাকা একটি রাইস মিলে ঢুকে পড়ে এবং ওই চাল গোডাউনের শাটার টি ভেঙ্গে দেয় হাতিটি। যদিও ঘটনাস্থলে বনদপ্তর উপস্থিত থাকায় হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তবে ওই ঘটনার ফলে আতংকে রয়েছেন ওই রাইস মিলের কর্মীরা।
তবে বারংবার হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বছরের প্রায়দিনই হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কে থাকতে হয় ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এর জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষকে। হাতির তাণ্ডবে কোনো সাধারণ মানুষ প্রাণহানি কখনো আবার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি লেগেই থাকে। এর পাশাপশি এলাকার মানুষের অভিজক হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়লে সঠিক সময়ে পৌছায় না বনদ্বপ্তর ফলে হাতির তাণ্ডব রোখা যায় না।
এলাকার মানুষের দাবী হাতি গুলোকে জঙ্গলে ব্যারিকেট করার বেবস্থা করা হোক পাশপাশি জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবারের বেবস্থা করা হয়। দিলেই হয় তো হাতির তান্ডব কমবে।