“প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় স্বাগত!” কেন বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?

The Truth Of Bengal ,হুগলি, রাকেশ চক্রবর্তী: “বাংলাকে খুব পছন্দ হয়েছে, বাংলায় এলে জন্ম নিলে আমরা বলব স্বাগত। এখানে জন্মাবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলবেন।”- নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্যের মন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। বৃহস্পতিবার ত্রিবেণী শিবপুর মাঠে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে সভা করে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কমিটি। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার, অরিন্দম গুইন, তপন দাশগুপ্ত, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা,হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শিল্পী চ্যাটার্জী , হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক যুব সভাপতি শুভদীপ মুখার্জি প্রমুখ।
এদিন প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গে আসার প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,”প্রধানমন্ত্রী আসছেন সভা করছেন আগেও এসেছিলেন ২০০ পার হবে ২১ শে বলেছিলেন, ৭৭ আটকে গিয়েছেন। এখন এসে কেউ বলছেন ২৫ , ৩০ আবার কেউ বলছে ৩৫ টা পাব। কেউ বলছে না ৪২ টা পাব। উনি আসুন, স্বাগতম।”
তাছারাও মালদার চাঁচলে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গেও মন্ত্রী এদিন বলেন,”গোটা ব্যবস্থাটাকে কিনতে চাইছে। সেটা যে কোন নিরপেক্ষ সংস্থা বা ধর্মীয় মেরুকরণ করার জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবার জন্য একশ্রেণীর মানুষকে কিনতে চাইছে। আসলে অনেক টাকা হয়ে গেছে। ১৫ লক্ষ টাকা আসেনি, কালো টাকা কি নিয়ে এসেছেন সে ব্যাখ্যাও দেশের মানুষের কাছে দেননি। সাধারণ মানুষের ঋণ মুকুব হয়নি ,কিন্তু উচ্চ শ্রেণীর মানুষের ঋণ মুকুব হয়ে গেছে।”
গত কয়েক ঘণ্টায় কুনালের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাকে সেই বিষয় নিয়েও জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন,”দল সবটাই বলে দিয়েছে। আমি মাপিনি কতটা দূরত্ব তাই কিছু বলতে পারব না।”