কলকাতারাজ্যের খবর

বিশ্বভারতীর মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক

Santiniketan

The Truth of Bengal: শিক্ষা –সংস্কৃতির বিশ্বায়নের জন্য   ১৯২১এ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২১ সালে ১১৩০ একর জমিতে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয়। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল।  বিশ্বকবির ইচ্ছা অনুযায়ী, ১৯৫১ তে এই  প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। তাঁর বিশ্বমানবতাবাদ এখন সারা বিশ্বের কাছে মডেল। বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী এবার গৌরবের মুকুটে যুক্ত করল নতুন পালক। রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা-সাংস্কৃতিক শাখা ইউনেস্কো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় জায়গা দিল।  সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় একথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। বিশ্বে এই প্রথম কোনও   বিশ্ববিদ্যালয় এই বিশেষ সম্মান আদায় করে নিল। বিশ্ববাসীকে প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে এনে রাবীন্দ্রিক ভাবনায় একতার সূত্রে বাঁধার এই মহতী কর্মষজ্ঞ ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিল।

ঐতিহ্যের পথে ধারাবাহিকভাবে সংস্কৃতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্যতঃ অন্যধারা বহন করে চলেছে রাঙামাটির দেশের এই চিরন্তন প্রতিষ্ঠান।বাঙালির আবেগ তাতে বাঁধ ভেঙেছে।আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া সকলেই আনন্দে আপ্লুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বিশ্বভারতীর এই অনন্য সম্মানলাভের বিষয়টি তুলে ধরে বার্তা দিয়েছেন।অবশ্যই এটি আনন্দ ও গর্বের বিষয় যে অবশেষে গুরুদেবের ভূমি শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। এটা বিশ্ববাংলার গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গোটা বাংলার মানুষ, কবি শান্তিনিকেতনের সাহচর্য পেয়েছে। রাজ্যের তরফে   গত ১২ বছর আগেই স্বীকৃতি দিয়েছি শান্তিনিকেতনকে। যাঁরা বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভালোবাসেন তাঁদের কুর্নিশ।

জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,মুখ্যমন্ত্রসাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিশ্বজয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত।প্রাক্তনী, পড়ুয়া, বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি, কবিগুরু হ্যান্ডিক্যাপস মার্কেটের সদস্যরা কার্যত আতসবাজি-সহ আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানে এখনও একই পদ্ধতিতে চলে শিক্ষাদান। পৌষ উৎসব ও দোল উৎসবে সেজে ওঠে শান্তিনিকেতন চত্বর।বার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায়   বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উজ্বল রূপে উঠে আসায় তাতে রবীন্দ্রভূমি আনন্দে আত্মহারা।নবপ্রজন্মও খুশিতে উত্ফুল্ল হয়ে উঠেছে।

Related Articles