রাজ্যের খবর

নদিয়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে হইচই, অভিযুক্ত পলাতক

Uproar over alleged cutting of government trees in Nadia, accused absconding

Truth Of Bengal: মাধব দেবনাথ, নদিয়া: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত মাজদিয়া টুঙ্গী ভাজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সম্প্রতি ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ১২০ নম্বর বুথের পাশের সরকারি রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলি পরিকল্পিতভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছিল। এইসব গাছগুলির মধ্যে ছিল কদম ও অর্জুনের মতো বড় ও মূল্যবান জাতের গাছ, যেগুলি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্থানীয় বাসিন্দারা দিনের পর দিন গাছ কাটা দেখলেও প্রথমদিকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে সামনে আসেনি। তবে সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযুক্ত গৌর হালদারকে গাছ কাটতে দেখে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে নিজের দোষ স্বীকার করতে অস্বীকার করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হঠাৎ পায়ের জুতো ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

ঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাটা গাছগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং গৌর হালদারকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতির হানা, আতঙ্কে ছাত্র-ছাত্রী ও বাসিন্দারা]

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। দিনের আলোয়, জনবহুল রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কীভাবে সরকারি গাছ কাটা সম্ভব হল, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই মনে করছেন, এর পেছনে কোনো গোপন চক্র কাজ করছে যা একাধিক দিন ধরে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

গ্রামবাসীরা পুলিশের তৎপরতায় আপাতত খুশি হলেও, তারা দাবি করেছেন এমন ঘটনা রুখতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। রাস্তার ধারে থাকা সরকারি গাছগুলির প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব, কিন্তু প্রশাসনের সক্রিয়তা ছাড়া তা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আটকাতে প্রশাসনের নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন।

Related Articles