রাজ্যের খবর

নৈহাটি ও হাড়োয়ায় জয়ী তৃণমূল, এগিয়ে বাকি আসনেও, ছয়ে ছয় শুধু সময়ের অপেক্ষা?

Trinamool wins Naihatit and Haroya, ahead in remaining seats, six-for-six just waiting for time?

Truth Of Bengal: জয় চক্রবর্তী:  প্রত্যাশা মতই রাজ্যের ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে বেশ খানিকটা এগিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নৈহাটিতে  জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। ৭৭, ১৫৮ ভোটে জয়ী উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় সবুজ আবির খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই আশা করেছিল উপনির্বাচনের সব কটি আসনে তারা জিতবে। সেই প্রত্যাশা মতই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। গতবার ফলাফল ছিল তৃণমূলের পক্ষে ৫-১। তবে এবার উপ নির্বাচনে বিরোধীদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রটি ২০২১ সালে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই নির্বাচনে বিজেপি ২৯,৬৮৫ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনে প্রাথমিক গণনায় ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন ২৩, ৩১০ ভোটে। এটি বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা এবং তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হতে পারে।

কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রে প্রাথমিক গণনায় সপ্তম রাউন্ড শেষে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ৭৪,৬৯৯ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। ২০২১ সালে এই আসনে তৃণমূল ১০,১১২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। এইবার সেই ব্যবধান আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থেকে তৃতীয় রাউন্ড শেষে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহ ৮৮৩৬ ভোটে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কেন্দ্রেও প্রার্থী প্রাথমিক গণনায় ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ২১,০০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ২০২১ সালের নির্বাচনে তালড্যাংরায় ১২,৩৭৭ ভোট এবং মেদিনীপুরে ২৪,৩৯৭ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এবারের উপনির্বাচনেও সেই ধারা বজায় রাখার ইঙ্গিত মিলছে।

গত ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কোচবিহারের সিতাই, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া গণনায় প্রাথমিক প্রবণতায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।