রাজ্যের খবর

বর্ষবরণে গরম উপেক্ষা করে ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের ঢল, আকর্ষণ লোকজ সংস্কৃতি

Tourists flock to Jhargram despite the heat on New Year's Eve, attracted by folk culture

Truth Of Bengal: প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝেও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ঝাড়গ্রাম। পারদ ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি হলেও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে থেমে থাকেনি পর্যটকদের আনাগোনা। শহরের কোলাহল ছেড়ে বহু মানুষ ভিড় করেছেন ঝাড়গ্রামের গ্রামীণ পরিবেশ, পাহাড়-জঙ্গলের নিবিড় প্রকৃতিতে। গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে ছাপিয়ে বর্ষবরণে জঙ্গলমহলে যেন বইছে উৎসবের হাওয়া।

বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টেগুলিতে পরিবেশিত ঐতিহ্যবাহী পান্তাভাতের থালি। এই থালিতে রয়েছে বাঙালির হৃদয় ছোঁয়া সব উপাদান জলঢালা পান্তা, ছাচি পেঁয়াজ, ডালের বড়া, শাকভাজা, আমডাল, চুনো মাছের টক, ইলিশ ভাজা, কালো কলাইয়ের ডাল, আমচাটনি ও কাঁচা তেঁতুলের টক। খাবারেই মিলছে সংস্কৃতির স্বাদ—এই ভাবনাতেই মজেছেন পর্যটকেরা।

ঝাড়গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ বেলপাহাড়ি, যেখানে ইন্দ্রাচকে অবস্থিত রেস্তোরাঁ ‘কাঁচা লঙ্কা’ আয়োজন করেছে বিশেষ পান্তাভাত উৎসব। রেস্তোরাঁর মালিকের কথায়, “এটা কেবল খাবার নয়, এটা সংস্কৃতির গল্প বলা এক মাধ্যম।” পর্যটকেরা তাতে দারুণ সাড়া দিচ্ছেন। এই গ্রামীণ স্বাদ, আতিথেয়তা ও পরিবেশ মিলে পর্যটনের অভিজ্ঞতাকে করে তুলছে মনে রাখার মতো।

সঙ্গে থাকছে আমপোড়া শরবত, পুদিনা মেশানো ঘোল—গরমে আরাম দিতে। বিভিন্ন হোটেল ও হোমস্টেগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে লোকসঙ্গীত, বাউল গান-এর আসর। প্রাকৃতিক শোভা ও সাংস্কৃতিক আবহে বাংলা নববর্ষ যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে ঝাড়গ্রামে।

বেলপাহাড়ি পর্যটন অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ জানিয়েছেন, “গরমের মধ্যেও সকালে ঠান্ডা হাওয়া আর সন্ধ্যার পরিবেশ পর্যটকদের টেনে আনছে। এই সময় পান্তাভাত থালির চাহিদা তুঙ্গে।”

এইভাবে ঝাড়গ্রাম ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালীন পর্যটন নয়, বরং বাংলার আত্মার সঙ্গে যুক্ত এক সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার কেন্দ্রস্থল।

 

 

Related Articles