শুরু হয়ে গেল এবছরের বাৎসরিক বীরভূমের দাতা বাবার পাথরচাপুরি মেলা
This year's annual Birbhum donor Baba's Patharchapuri Mela begins

Truth of Bengal: গতকাল থেকে শুরু হলো বীরভূম দাতা বাবার পাথরচাপুরি মেলা। গতকাল ৯ চৈত্র বীরভূমের প্রশাসনিক আধিকারিকদের হাত দিয়ে উদ্বোধন করা হলো ২০২৫ এর দাতা বাবা পাথরচাপুরি মেলা। এদিন উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি তথা এসআরডি এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল সহ আরও কিভহু শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
এই মাজারে ছাই-স্নানের জলে সারে যে কোনও রোগ। এমনটাই দাবি ভক্তদের। বীরভূমের সিউড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাথরচাপুরি। আর, সেখানেই রয়েছে দাতা বাবার মাজার। আসল নাম হজরত দাতা মেহবুব শাহ। পরে তিনি দাতা বাবা নামে খ্যাতি লাভ করেন। এই মাজার কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। বাংলার ১২৯৮ সালের ৯ চৈত্র সন্ধ্যায় দাতা বাবার প্রয়াণ ঘটেছিল। হজরত দাতা মেহবুব শাহর প্রয়াণের পর তাঁর নামে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলার ব্রতচারী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা গুরুসদয় দত্ত।
প্রতিবছরই চৈত্র মাস থেকে শুরু হয় পাথরচাপুরির দাতাবাবার মেলা । এখানে বিপুল ভক্ত সমাগম ঘটে। তাই এবছর বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি গত দু’বছর ধরে দাতাবাবার মাজারের সামনে কিউআর কোড স্টিকার লাগানো হয়েছে। এই কিউআর কোড এর সুবিধা নিয়ে মেলা কমিটির সদস্য শেখ রাজু জানান, গত দু’বছর ধরে এই কিউআর কোড বসানো হয়েছে। এখন অত্যাধুনিক যুগ আর সেই যুগের সঙ্গে পা মিলিয়ে যে সকল পূর্ণর্থীরা এই মেলা সহ দাতা বাবার মাজারে আসেন তাদের পকেটে নগদ অর্থ বা খুচরো না থাকলেও এই কিউআর কোড অনুদান করলে সরাসরি মাজার ফান্ডে চলে যায়।
গত বছরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতন এই কিউআর কোডের মাধ্যমে দান করেছেন আগত ভক্তরা। এবারও এই কিউআর কোড এর মাধ্যমে অতিরিক্ত অনুদান হবে বলে আশা রাখছে মেলা কমিটি। যদিও রোজা মাস থাকার জন্য মেলা সেইভাবে সেজে উঠতে না পারলেও আজ থেকে মানুষ এসে দাতা বাবার মাজারে তাদের মনস্কামনা পূরণ করছেন। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষ এই মেলায় এসে ভিড় জমান। সরকারিভাবে তিন দিন নির্দেশ থাকলেও সাত দিন ধরে চলে এই পাথরচাপুরির দাতা বাবার মেলা।