জামাই বরণের পার্বণ, আঁচ লাগছে বাজারে
The wedding of the groom is coming, the market is getting excited

Truth Of Bengal: সনাতনী পরম্পরা মেনে এখনও জামাই বরণের আয়োজন করা হয়। হাইটেক যুগে শতব্যস্ততার মাঝেও জামাই বাবাজিরা শাশুড়ির আপ্রায়ণমতো চলে আসেন শশুরবাড়িতে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠীদেবীর পুজার মধ্যে দিয়ে জামাইষষ্ঠী ব্রত পালন করা হয়। সেইমতো রবিবার, ছুটির দিনে পড়েছে জামাই ষষ্ঠী। এই ব্রত পালনের মধ্যে দিয়ে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করা হয়।
এক দিকে যেমন মা ষষ্ঠীর পুজো দিয়ে সন্তানের সন্তানসুখ কামনা করা হয়, অন্য দিকে জামাইকে আদর-আপ্যায়ন করা হয়। বাঙালির এই গর্বের অনুষ্ঠানে আহারের এলাহি আয়োজন করা হয়। হরেক পদের মধ্যে থাকে মাছ মাংস, দই , মিষ্টি, ফল মূল। বলা যায়, মাছের রাজা ইলিশ। সেই ইলিশ নিয়ে সত্যেন্দ্র দত্ত লেখেন, ইলশে গুড়ির নাচন দেখে নাচছে ইলিশ মাছ’।বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে।তবে বাজারদর যে চড়া তা মেনে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। দেখে নেব, একনজরে বাজারদর।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তার ইলশে গুড়ি কবিতায় লিখেছেন, ‘ইলশে গুড়ির নাচন দেখে নাচছে ইলিশ মাছ’। ইলশে গুড়ি বৃষ্টিও নেই ইলিশ মাছের নাচনও নেই। এখনো বর্ষা ঢোকেনি বঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত ভাবে হয়েছে। তবে ইলিশ মাছের দেখা মেলেনি। সাগরে নদীতে ইলিশ ধরা না পরলেও এখন বছর ভর হিমঘরে রাখা ইলিশ পাওয়া যায় বাজারে। আর জামাই ষষ্ঠীতে চাহিদা মেটাচ্ছে প্লাস্টিকে মোড়ানো সেই হিমঘরের ইলিশ। রসগোল্লা, দই,পান্তুয়ার চাহিদা যথেষ্ট। তবে ফিউশন মিষ্টির মতোই নতুন ধরণে মিষ্টিও ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।