নদী ভাঙনের হাত থেকে মন্দিরকে বাঁচাতে প্রশাসনকে আবেদন মন্দির কর্তৃপক্ষের
The temple authority appealed to the administration to save the temple from river erosion

The Truth Of Bengal : জলপাইগুড়ি -কল্যান চন্দ- রাত পার হলেই শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে লোকনাথ মন্দির। কিন্তু প্রশ্ন একটাই সেই মন্দির আর কতদিন থাকবে? কারন মন্দিরের জমি আস্তে আস্তে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এভাবেই চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে লোকনাথ মন্দির নদী গর্ভে চলে যাবে। এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ মন্দির কমিটির। ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের আকারিগজ বানাভাসা লোকনাথ মন্দিরের ভক্তদের মধ্যে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকারিগছ বানাভাসা গ্রামে বহু বছর পুরনো একটি লোকনাথ মন্দির রয়েছে। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শাহু নদী। প্রতিবছর সাহু নদীর ভাঙ্গনের কবলে মন্দিরের জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে লোকনাথ মন্দির চলে যাবে। এই বিষয়ে ভক্তরা জানায় প্রতি বছর লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস উপলক্ষে প্রচুর ভক্তের সময়ম হয় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকারিগছ বানাভাসা লোকনাথ মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে তিরোধান দিবস উপলক্ষে। কিন্তু ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন একটাই এই মন্দির থাকবে তো। কারণ মন্দিরের পাশে সাহু নদী যেভাবে মন্দিরের জমি গ্রাস করছে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তাতে মন্দিরকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না করা হলে লোকনাথ মন্দিরের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রতিবছর বর্ষা আসলে ভাঙ্গন আরো ভয়ানক রূপ নেয়। সামনেই বর্ষা আতঙ্কে মন্দির কমিটি। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রধান কে জানানো হয়েছে। দ্রুত সাহু নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে মন্দির নদী গর্বে চলে যাবে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করে মন্দিরটি রক্ষা করা হোক। এই বিষয় নিয়ে বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমিজ উদ্দিন আহমেদ কে পাওয়া না গেলেও ফোনে জানায় বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ এত বড় কাজ পঞ্চায়েতের অর্থ তহবিল থেকে করা সম্ভব নয়। পৌঁছে ভোটের ফল মিটলে পরিদর্শনে যাব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বাঁধ নির্মাণ করবার জন্য।