ট্রেন দুর্ঘটনাকে সামনে এখনো পর্যন্ত আতঙ্কের ছাপ কাটাতে পারেনি সিউড়ির কর্মকার পরিবার
The family of the worker of Siuri has not yet overcome the impression of fear in front of the train accident

The Truth of Bengal: গতকালকে ট্রেন দুর্ঘটনাকে সামনে দেখে এখনো পর্যন্ত আতঙ্কের ছাপ কাটাতে পারেনি সিউড়ি পৌরসভা এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটজন বাজার এলাকার কানন পল্লীর বাসিন্দা গিরিধারী কর্মকারের পরিবার এ থিম সপরিবারে ১২ তারিখ রওনা দেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। এই কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস এ তারপর ১৬ তারিখ বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন গিরিধারী কর্মকারের বউ ও ছেলে ও মেয়ে। তারপরে এই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে মালগাড়ি ধাক্কা মারার ঘটনার সময় ফ্রেশ হওয়ার জন্য ট্রেনের বাথরুমে গেছিল গিরিধারী কর্মকারের একমাত্র মেয়ে নিশা কর্মকার সেই মুহূর্তে বাথরুমে থাকা অবস্থায় তার ঝটকা লাগে, ঝটকায় তার বাথরুমে থাকার আয়নায় ধাক্কা পায় আহত হয়, মাথা এবং চোখের পাশে আঘাত লাগে।
এরপরই ঘটনা স্থলে বাইরে বেরিয়ে দেখে তাদের কামরার ঠিক দুটো বগি পরে এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ট্রেনের বগি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করতে মাঠ থেকে দৌড়তে দৌড়তে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজের জন্য এগিয়ে আসছেন। অপরদিকে তারা সেই সন্মুখিন হয়। ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তারপর রেল সূত্রে জানা গেছে যে সকল যাত্রী সুরক্ষিত রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়। সে মতো তারা গতকাল তিনটের পর সে ট্রেনটিকে তারা রওনা বাড়ি আসতে আসতে প্রায় রাত দেড়টা বেজে যায়।
তারপরও সেই ঘটনার জেরে সারারাত তারা ঘুমাতে পারেনি। এখনো চোখে মুখে তাদের আতঙ্কের ছাপ। সব মিলিয়ে কেন্দ্র দুর্ঘটনায় রেলের গাফিলতির পাশাপাশি রেল পুলিশের গাফিলতি প্রশ্ন তুলেছেন তারা অভিযোগ করছেন। ট্রেন দুর্ঘটনার অনেক পরেও দেখা যায়নি রেল পুলিশের। সাধারন মানুষরাই উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন। পরে প্রত্যেকটা স্টেশনে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি সেই সকল যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাড়িতে ফিরে এসেও ভুলতে পারছেন না সিউড়ির কানন পলির গিরিধারী পরিবারের সদস্যরা।