ধর্মের ব্যবধান মুছে দিল সম্প্রীতির ভাইফোঁটা
The Bhaiphonta of harmony erased the gap of religion

Truth of Bengal: ভাই-বোনের সম্পর্ক বড় পবিত্র। ধর্মের বেড়াজাল টপকে তাই সম্প্রীতির বাঁধন শক্ত করল কালনার পূর্বস্থলী। শ্রীরামপুর খাদি ভবনে হিন্দু,মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ পরস্পরের মঙ্গল কামনা করেন।হিন্দু বোনেরা মুসলিম ভাইদের শুভদিনের জন্য প্রার্থনা করে। ধর্মের ব্যবধান মুছে দিল সম্প্রীতির ভাইফোঁটা।বাংলার সমাজজীবনের পরম্পরাকে আরো তাত্পর্যবাহী করে তুলল কালনার পূর্বস্থলী। গিয়াসুদ্দিন শেখ,হাসিবুল শেখের পাশে বসে ফোঁটা নিলেন দিলীপ মল্লিক,পরিমল দেবনাথ।
ভাগাভাগির বেড়া ভেঙে মানবতার জয়গান গাইলেন কালনার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ।শ্রীরামপুর খাদি ভবনে হিন্দু,মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ পরস্পরের মঙ্গল কামনা করেন।হিন্দু বোনেরা মুসলিম ভাইদের শুভদিনের জন্য প্রার্থনা করে । শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আজিজুন্নেসা বেগম, সর্বজয়া সংস্থার কর্ণধার সবিতা মজুমদাররা ধান, দূর্বা, গঙ্গাজল ও প্রদীপ জ্বালিয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেন খাদি ভবন চত্বরে। ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পী মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উপস্থিতিতে শঙ্খ বাজিয়ে শুরু হয় ভাইফোঁটা। সবিতা মজুমদার মুসলিম ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আজিজুন্নেসা বেগম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ হিন্দু ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুসলিম বোনেরা যেমন হিন্দু ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন। তেমনি হিন্দু বোনেরা মুসলিম ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন। উভয়জনেরাই তাঁদের ভাইদের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই বলেন,উৎসব যার যার ধর্ম সবার। বাংলা বরাবর সঙ্কীর্ণতাকে পাশে সরিয়ে রেখে উদারতার ঐতিহ্য বজায় রাখে।একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার করে ভাতৃদ্বিতীয়ায় এই সখ্য সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়াস,সবমহলের কাছেই প্রশংসা আদায় করে নিচ্ছে।