বাঁধ সংস্কারে নজর প্রশাসনের,বঞ্চনা সত্ত্বেও সংস্কার রাজ্যের
The administration's focus on dam reform, the state's reform despite deprivation

The Truth of Bengal: গঙ্গাসাগরে নদী বাঁধে ফের ফাটল।যারজন্য লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জল।তাতে আতঙ্কিত সুন্দরবনের শিকারপুরে বাসিন্দারা।কেন্দ্র বাঁধ সংস্কারে টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সাধ্যমতো বাঁধ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষা বাড়াতে উদ্যোগী হতে চান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।
সারা বিশ্বের তীর্থযাত্রীদের কাছে গঙ্গাসাগরের আলাদা মর্যাদা রয়েছে।গঙ্গাসাগরের পর্যটনের বিকাশে প্রশাসন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করছে।সেই গঙ্গাসাগরে নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ যখন তখন লোকালয়ে জল ঢুকে পড়ায় সবমহলই আশঙ্কিত। প্রায়শই এই এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে বিপত্তি হয়। বাঁধে ফাটল দেখা যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার মানুষকে দূর-দূরান্তে চলে যেতে হয়। রবিবার এই ঘটনায় গঙ্গাসাগরের শিকারপুরের পয়লাঘেরি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক মানুষের বাস।হঠাৎ করে নদী বাঁধে দেখা যায় ফাটল। ফাটল দিয়ে জল ঢুকতে দেখা যাওয়ায় আতঙ্কে হাঁড়ি কড়া নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে শুরু করেছেন এলাকার মানুষ।
যখনই নদী বাঁধ দুর্বল হয়,তখন প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়।লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাঁধের সংস্কার করা হয়।স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার আর্জি জানায়। কিন্তু বিজেপির সরকার তাতে সাড়া না দেওয়ায় রাজ্য সাধ্যমতো সংস্কারের কর্মষজ্ঞ চালাচ্ছে।তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান আগামীদিনে এই বাঁধ নির্মাণের কাজকে তরান্বিত করার কথা দিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৪লেনের সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যোগাযোগের উন্নতি হবে। একইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে যেখানে বাঁধে ফাটল ধরেছে সেখানে বাঁধ পুণঃনির্মাণ ও সংস্কারের প্রয়াসও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলা যায়।