
The Truth of Bengal: জেটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয় যাত্রীদের। নুরপুর থেকে গাদিয়াড়া বা গেঁয়োখালি যাওয়ার সময় রীতিমতো জীবন হাতে করেই জলপথে যাতায়াত করতে হয়।ফেরি সার্ভিসের এই বেহাল দশা কাটাতে এগিয়ে এল প্রশাসন।ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জেটি নির্মাণের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আশ্বস্ত করেছেন। জেটি না থাকায় এতদিন জেরবার হতে হত। নিত্যদিন ঝুঁকির পারাপার করতে হয় জলপথ পরিবহণের যাত্রীদের।দক্ষিণ ২৪পরগনার নুরপুর থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়া বা পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁয়োখালি যাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে।
কিন্ত সরু কাঠের পাটাতন ফেলে লঞ্চে ওঠানামা করতে হওয়ায় যাত্রীদের পদে পদে বিপদের আশঙ্কা থাকে। কাঁধে মালপত্তর, হাতে জুতো, হাঁটু পর্যন্ত তোলা প্যান্ট, শাড়ি। সঙ্গে সাইকেল থাকলে মাথায় তুলতে হয়। আর মোটরসাইকেল হলে জল-কাদা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যেতে হয়। বাম আমল থেকেই এই ঝুঁকির পারপার করতে হয় যাত্রীদের। ফলে দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে হত যাত্রীদের। বিশেষ করে প্রবীণ মানুষদের ভয় লাগত।বাম আমল থেকেই এই জলপথের জটিল সমস্যা।জীবনের ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ নিয়েই সবাইকে এপার থেকে ওপার করতে হয়।
অভিযোগ, বামেদের ব্যর্থতার জন্য এভাবে ঝুঁকির যাতায়াত করতে হয় দক্ষিণ ২৪পরগনা-হাওড়া,ও পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে। তাই বিপদ এড়াতে এগিয়ে এসেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁরই নির্দেশে প্রশাসন চালু করতে চলেছে জেটি। প্রশাসন যাত্রীবন্ধু পদক্ষেপ নেওয়ায় সাধারণ মানুষও ভাসমান লঞ্চে চড়ে এবার নিশ্চিন্তে যাতায়াতের আশায় রয়েছেন। ডায়মণ্ডহারবারের মতো অন্য জেলার মানুষরাও বলছেন, জেটি স্থায়ীভাবে গড়ে উঠলে আন্তঃজেলা জলপথ পরিবহণের সুবিধা হবে। ব্যবসা থেকে পর্যটন সবের দুয়ার খুলবে। বাড়বে আয়,বাড়বে যোগাযোগের পথ