রাজ্যের খবর

আজও উজ্জ্বল সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই বাড়ির পুজোয় শামিল হতেন

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: শান্তিনিকেতনের শতাব্দী প্রাচীন সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো সবার নজর কাড়ে। মণ্ডপ সজ্জায় এখনও আগের মতোই লাগানো হয় বহু মূল্যবান বেলজিয়াম কাচের তৈরি ঝাড়বাতি। সেই ঝাড়বাতি দিয়েই সাজিয়ে তোলা হয় মণ্ডপ। শান্তিনিকেতনের ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুরুলের সরকার জমিদার বাড়ির ভাল সম্পর্ক ছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোয় শামিল হতেন। কালের নিয়মে বনেদি বাড়ির এই পুজো ধীরে ধীরে সর্বজনীন পুজোর রূপ নিয়েছে। বর্ধমান জেলার নীলপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের শান্তিনিকেতন লাগোয়া সুরুল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন ভরত চন্দ্র ঘোষ।

ইংরেজ শাসকরা তাঁকে সরকার পদবি দিয়েছিল। তাঁকে সরকার বাড়ির প্রাণপুরুষ বলা হতো। জানা যায়, তাঁরই পুত্র কৃষ্ণহরি সরকার জমিদার বাড়ির অন্দরে আনুমানিক ২৮৯ বছর আগে প্রথম এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। সেই থেকেই চিরাচরিত প্রথা মেনে আজও চলে আসছে সুরুলের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো। জমিদারবাড়ির এই পুজোর বিশেষত্ব হল, গ্রামের সবাই মিলে সপ্তমীর দিন নবপত্রিকা আনা ও ঘট ভরতে যাওয়া।

জমিদার বাড়ির পুজোয় বসে যাত্রাপালা।পুজোর দিন নাটমন্দির সাজানো হয় প্রাচীন বহু মূল্যবান বেলজিয়াম কাচের তৈরি ঝাড়বাতি দিয়ে। যার অপরূপ দৃশ্য নজর কাড়ে। ঐতিহ্যবাহী সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে। পুজোর চারদিন ব্যাপক ভিড় হয়। আজ জমিদারিপ্রথা না থাকলেও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের বিশাল বাড়িটি মানুষকে আজও আকৃষ্ট করে। প্রায় তিন শতাব্দী হতে চলা জমিদার বাড়ি ও সেই বাড়ির পুজোর জৌলুস এতটুকুও কমেনি।

Free Access

Related Articles