বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে কড়া বার্তা সুপ্রিমকোর্টের, শীর্ষ আদালতেও হোঁচট খেল গেরুয়া শিবির
Supreme Court's strict message on BJP's election advertisement

The Truth Of Bengal: বাদমাধ্যমে আপত্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাংলার দুর্নীতি ও ধর্মীয় আবেগকে হাতিয়ার করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের শাসকদের বিরুদ্ধে।গাজোয়ারি রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি লড়াইতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বিতর্কিতও সামাজিক উস্কানিমূলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।বিজ্ঞাপন প্রকাশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়,৪ জুন পর্যপ্ত এই ধরণের বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পর ডিভিসন বেঞ্চে যায় বিজেপি।সেখানেও তারা ধাক্কা খায়।এরপর সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশের অনুমতি চায়।কিন্তু সোমবার শীর্ষ আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চের বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিসন বেঞ্চ এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেন। বিজেপি আবেদনে বেঞ্চ কোনরকম সাড়া দেয়নি। বিজেপির তরফে আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া সওয়াল করে বলেন যে বিজ্ঞাপনগুলির বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, তবুও হাই কোর্ট তা না শোনায় তাঁরা সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর পর বিচারপতিদের পরামর্শ, এনিয়ে বক্তব্য থাকলে হাইকোর্টে যেতে হবে।
একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট কড়া বার্তা দেয়, বিজ্ঞাপনগুলিতে একে অপরকে আক্রমণ করার বিষয় রয়েছে। তাই সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট কথা, নিজের প্রচার করা যায়, কিন্তু অপরকে আক্রমণ করা কখনই কোনও বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য হতে পারে না।তাই শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির আসলে মুখ পুড়ল বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি।সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে,এটা আসলে মা-মাটি-মানুষের জয়।বিজেপির নিম্নমাণের রাজনীতি শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খাওয়ায় কার্যতঃ তাঁরা মানুষের দরবারে গিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে দাবি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের।তাই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন নিয়ে বারবার ধাক্কা খাওয়ার পরেও কেন বিজেপি বিজ্ঞাপন প্রকাশের কাজে অনড় রয়েছে তাই নিয়ে সবমহলেই উঠছে প্রশ্ন।