রাজ্যের খবর

ভেনামি চিংড়ি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা,আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় ঝোঁক বাড়ছে

Sundarbans fishermen are reaping the benefits of Venami shrimp farming

The Truth of Bengal: ভেনামি চিংড়ি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় ভেনামি চিংড়ি চাষের দিকে সবার ঝোঁক বাড়ছে। প্রশাসন তাঁদের হাতেকলমে শিক্ষা দিয়েছে। এখন মাছ চাষের এই নতুন পদ্ধতি সুন্দরবনের মানুষকে নগদ অর্থের আমদানিতে সুবিধা করে দিচ্ছে। যার জন্য সাবলম্বী হয়ে উঠছেন প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা।

সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের পুকুর বা জলাশয়ের  অন্যতম সমস্যা, জলে  লবণের মাত্রা  বেড়ে চলেছে। দ্বীপ অঞ্চলে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে মাছের চারা উৎপাদন করে মাছ চাষ যে সম্ভব, সে ধারণাই ছিল না মানুষের। যে কারণে অনুন্নতমানের মাছের চারা ব্যবহার করে চাষ করায় উৎপাদন বাড়ত না। এখন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেড়েছে। এই অবস্থায় সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় ভেনামি চিংড়ি চাষের চল দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রাচীন পদ্ধতিতে দেশীয় বাগদা চিংড়ি চাষ‌ করলে হেক্টরপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ কেজির মতো বাগদা চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। তবে এই চিংড়ি নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি দেড় টন থেকে দুই টন চিংড়ি পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে, নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ করা হলে হেক্টর প্রতি ৮ থেকে ১০ টন পর্যন্ত চিংড়ি পাওয়া সম্ভব। এতে লাভ হয় প্রচুর।কেন্দ্রীয় নোনা জলজীব পালন অনুসন্ধান সংস্থা চিংড়ি চাষ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে।স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুলে যাওয়ায় মত্স্যজীবীরা দিন বদলের স্বপ্ল দেখছেন।

ভেনামি চিংড়ির চাষ এখন খুবই লাভজনক। তবে বেশ কয়েকবছর দেখা গিয়েছে চিংড়ি চাষিরা অজ্ঞতাবশত বেশি মিনারেল অথবা খাবার দিয়ে ফেলছিলেন পুকুরে। ফলে অনেকসময় খরচ উঠছিল না তাদের।এই সমস্যার ফলে অনেকসময় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন কৃষকরা। ফলে কৃষকদের এই চিংড়ি চাষের জন্য কম খরচে কি করে বেশী উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।এই নিয়ে সিবা-‌র বিজ্ঞানী ও ন্যাশানাল ফিশারিস ডেভলেপমেন্ট বোর্ডের আধিকারিকরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন। এই কর্মশালার পাশাপাশি পুকুর থেকে জাল দিয়ে চিংড়ি তোলা হয়। এদিন সিবার পক্ষ থেকে চিংড়ি চাষের প্রয়োজনীয় জন্য একটি বিশেষ খাবার চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে চাষের খরচ কমার পাশাপাশি চিংড়ির বৃদ্ধি হবে ভাল বলে জানান সিবা কাকদ্বীপ শাখার প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশিষ দে। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিংড়ি চাষিরা। তারা এবার এই ব্যবসায়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করছেন তাঁরা।

Related Articles