রাজ্যের খবরশিক্ষা

Success Story: দৃষ্টিহীন হয়েও হাতের কাজে সিদ্ধহস্ত! এই দৃষ্টিহীন বিশ্বকর্মাকে চেনেন কি?

Success Story: Even without sight, he is good at hand work! Do you know this visionless Vishwakarma?

The Truth Of Bengal : দুচোখ দিয়ে দুনিয়াকে দেখতে পান না। কিন্তু দুহাত কাজে লাগিয়ে কাঠের তৈরি জিনিস তৈরি করে আধুনিক বিশ্বকর্মা হয়ে উঠেছেন অনিল দাস। পান্ডুয়ার দৃষ্টিহীন শিল্পীর  শিল্প-সৃষ্টি অবাক করে তুলেছে সবমহলকে । তাঁর হাতের কারুকাজে ফুটে ওঠা সামগ্রী এখন হুগলি ছাড়িয়ে ভিনজেলাতেও ভালো দর পাচ্ছে।

এ যেন সাক্ষাত্ বিশ্বকর্মা।পৃথিবীর আলো দেখতে না পেলেও কাঠের কারুকাজে চমকে দিচ্ছেন পান্ডুয়ার অনিল দাস।টালির ঘরে বসে নানা সামগ্রী তৈরি করে তাক লাগাচ্ছেন এই দৃষ্টিহীন শিল্পী।তাঁর স্বপ্ন ছিল সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে পাঁচজনের একজন হবে।কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা তৈরি করেছে।তবু তিনি প্রতিবন্ধকতা পাশে সরিয়ে রেখে দুহাত দিয়ে কাজ করেন।অন্যান্য শিল্পীদের তুলনায় আলাদা কিছু করে সাড়া ফেলে দিচ্ছেন অনিল দাস। মনের জোরেই চৌকি থেকে সিংহাসন,সব কিছু তৈরি করে ক্রেতাদের মন কেড়ে নিচ্ছেন।তাঁর তৈরি শক্তপোক্ত সামগ্রী,বাড়ির অন্দরমহলের শোভা বাড়াচ্ছে।দুহাত দিয়ে আসবাবে কারুকাজ  করেন।সবকিছু একাই সামলান।এমনকি নতুন শিল্পীদের ভুল হলে তিনি শুধরে দেন।

টালির ঘরে বসে দৃষ্টিহীন “বিশ্বকর্মা” অনিল তৈরি করেন  দেব-দেবীর সিংহাসন। আর পাঁচটা  শিল্পীর  মতোই অনায়াসেই কাঠের জিনিস পত্র বানাচ্ছেন,দ্রোণাচার্যের মতো সম্ভাবনাময় শিল্পীদের নিজের হাতে তৈরি করছেন বছর ষাটের এই ব্যক্তি। ৪৫ বছর বয়স ধরে কাঠের সামগ্রী তৈরি  করে জেলা ছাড়িয়ে ভিনজেলাতেও কদর পাচ্ছেন। বর্ধমান ,মেমারী ,চন্দননগর সহ বিভিন্ন জায়গায় যায় তাঁর হাতে তৈরি কাঠের জিনিস।কাঠ কাটা থেকে পেরেক মারা সবেতেই সাবলীল অনিল। বর্তমানে তার কাছে দুজন কাজ করে।নিজের অন্ন সংস্থান করার পাশাপাশি অন্যদের রুটি-রুজির দিশা দেখাচ্ছেন দৃষ্টিহীন এই শিল্পী।

Related Articles