রাজ্যের খবর

ব্যান পিরিয়ডে মৎস্যজীবীদের অনুদান, মুখে হাসি ফোটাল সমুদ্রসাথী

Subsidy to fishermen during ban period

The Truth of Bengal: অকূল দরিয়ায় প্রায়শই নাও টলোমলো করে। ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রযাত্রায় যাওয়া মত্সজীবীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হয়।আর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ২মাস সেই নাও ভাসাতেই পারেন না ধীবররা।তাই অসংগঠিত পেশায় থাকা মত্সজীবীদের জীবিকার ডামাডোলের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার চালু করেছে সমুদ্রসাথী প্রকল্প। এই সময়ে মৎস্যজীবীরা  মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৩২ জন মৎস্যজীবী হিসাবে পরিচয় পত্র পেয়েছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান ৫০ হাজার জন।

এছাড়া, নোনা জলে ১৪ হাজার এবং মিষ্টি জলে মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ‘ব্যান পিরিয়ড’ ঘোষণা করেছে  সরকার। যেসব মৎস্যজীবীর রয়েছে পরিচয় পত্রও তাঁরা সরকারি সুবিধা পাবে। সরকারি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মত্সজীবীদের সংগঠন। মৎস্যজীবী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল ব্যান পিরিয়ডে সরকারি সাহায্য পাওয়ার জন্য। মানবিক রাজ্য সরকার সেই দাবি মেনে নিয়েছে।

এতে সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল মত্সজীবী সমাজ বেশ স্বস্তিতে।তারা মনে করছেন,সমুদ্রের ২ লক্ষ মত্‍সজীবী উপকৃত হবে বলে মত্সজীবীদের সংগঠন  মনে করছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে।তাই পূর্ব মেদিনীপুরের মতোই দুই ২৪পরগনার মত্‍সজীবীরা   প্রতিকূল আর্থিক অবস্থার মধ্যে  থেকে কিছুটা সুরাহা পাবেন বলে অনেকের বিশ্বাস। মাছে -ভাতে বাঙালির মুখে হাসি ফোটাতে যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র যান,তাঁদের জীবিকার সুরক্ষার মতোই ব্যান পিরিয়ডে এই অনুদান প্রদান তাঁদের সুরাহা করবে বলে আশা প্রশাসনের কর্তাদের।

Related Articles