বিশ্বাস মা অরণ্যকালী পুজোয় হাজির ভক্তদের আর্শীবাদ করেন, আড়াইশো বছরের কালীপুজো মাহাত্ম্য কী?
kalipujo 2023

The Truth of Bengal: কোথাও মন্দিরে কোথাও ফাঁকা জায়গায় তাঁর পুজো হয়। বিশ্বাসে ভর করেই মাতৃবন্দনার কাজে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। আর সুন্দরবনের বিপদ সঙ্কুল এলাকার মানুষের কাছে বিশেষ কদর পায় অরণ্যকালী।কথিত আছে আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর বন্যা থেকে বাঁচতে এই কালীর পুজো শুরু হয়। এক সাধু ষজ্ঞ করে কালী আরাধনা শুরু করেন। তারপর ধীরে ধীরে অরণ্যকালীর মাহাত্ম্য প্রচার হওয়ায় তৈরি হয় মন্দির। মন্দিরে বিরাজমান জাগ্রত কালীর কাছে মনষ্কামনা পূরণ করতে হাজার হাজার মানুষ আসতেন।
বিশ্বাস মা অরণ্যকালী এই পুজোয় হাজির ভক্তদের আর্শীবাদ করেন। একসময় দক্ষিণরায় এসে এই পুজো দেখতে আসেন।তারপরই বাঘের ভয়ে পুজোপাঠ বাধা পায়।পরে দেবীর প্রতি আস্থা রেখে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ষজ্ঞ সহকারে পুজোর আয়োজন হয়। আড়াইশো বছরের সেই পুজোকে ঘিরে এখনও ভক্তদের বিপুল সমাগম হয়।জনারণ্যে হাড়োয়ার এই খলিসাদি গ্রামের অরণ্যকালীর পুজোয় কার্যতঃ আলাদা ধুম লাগে। আরো একটি রীতি রয়েছে এই পুজোর সঙ্গে।
শ্যামা পূজার দিন যে মূর্তি স্থাপিত হয় তার পুজো সারা বছর হয়। আবার ঠিক শ্যামা পূজার এক সপ্তাহ আগে বিসর্জন দেওয়া হয় সেই পুরনো প্রতিমার। এই এক সপ্তাহ ধরে চলে তামার ঘটে পুজো। তারপর আবার প্রতিষ্ঠিত হন নতুন কালি। আরাধনা শুরু হয় তারও। শ্যামা পুজোর দিন প্রতিবছর পূজা উপলক্ষে প্রচুর পাঠা বলি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফলও বলি দেওয়া হয়। খিচুড়ি ভোগ তৈরি হয়।দূর-দূরান্তের দর্শনার্থী থেকে ভক্ত সবার একটাই প্রার্থনা অরণ্যকালীর আর্শীবাদ নিয়ে গিয়ে জীবনের বাধা দূর করা।শান্তি-স্বস্তিতে জীবন কাটানো।
Free Access