৫৪ বছর পর স্বামীর সমাধির খোঁজ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন জওয়ানের স্ত্রী
Soldier's wife breaks down in tears after searching for husband's grave after 54 years

Truth Of Bengal: ১৯৭১- এর যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের টেক বাহাদুর ছেত্রী। স্বামীর মৃতদেহ কোথায় সমাধি দেওয়া হয়েছিল তা জানা ছিল না স্ত্রীর। বহু বছর ধরে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। একবার স্বামীর সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে জীবনের সায়াহ্নে এসে খোঁজ পেলেন স্বামীর সমাধির। সমাধিস্থলের সামনে দাঁড়িয়ে ৭৮ বছরের বৃদ্ধা মাইলি ছেত্রী ভেঙে পড়লেন কান্নায়।
পশ্চিমবঙ্গ সৈনিক বোর্ড মারফত খবর পান সেই সময় যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সাত জনের সমাধিস্ত করা রয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। তার মধ্যে সমাধিস্থলে তেজ বাহাদুর ছেত্রীর সমাধিও রয়েছে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, স্বামীর সমাধি দর্শন করতে এলেন। দূর থেকে সমাধিস্থল দেখে কাতর কণ্ঠে চিৎকার করে বললেন, ‘আমি তোমার কাছে এসেছি’। স্বামীর শহীদ বেদী আঁকড়ে ধরে জীবনের শেষ ইচ্ছা পূর্ণ করলেন। তারপর পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্মান জানালেন বীর স্বামীকে।
দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা শহীদ বেদীর সন্ধান দিলেন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানরা। সোমবার সংগঠনের বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস পালন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবস পালন। ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিএসএফের ক্যাম্পের ওসি বলবান সিং। এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা ৭ জন শহীদ ভারতীয় সৈনিকের সমাধিতে মাল্যদান করে শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বলবন্ত সিং, ভৈরব দত্ত, মোহন সিংহ, মূর্তি সিংহ, মহেশ্বর সিংহ, দুর্গা সিংহ ও তেজ বাহাদুর ছেত্রীর দেহ এখানেই সমাধিস্থ করা হয়েছিল। টেক বাহাদুরের স্ত্রী মাইলি ছেত্রীর কথায়, কত খোঁজখবর নিয়েছেন নিজের স্বামীর সমাধিটা একবারের জন্য স্বচক্ষে দেখার। কোনভাবেই তিনি জানতে পারেননি তার স্বামীর সমাধি কোথায় আছে। অবশেষে তার সন্ধান পেয়েছেন। প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।