রাজ্যের খবর
Trending

সমবায়ের মাধ্যমে বাংলায় সমাজ কল্যাণ, লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে কৃষক-স্বনির্ভর মহিলাদের

Social welfare in Bengal through cooperatives

The Trutuh Of Bengal : স্বাধীনতার পর সমবায় ব্যবস্থায় রূপায়ণ করে দেশের হাল ফেরানোর কথা ভাবা হলেও সেভাবে তা কার্যকর করা যায়নি। এখন এই বাংলায় সেই সমবায় ব্যবস্থার হাত ধরেই উন্নয়নের সিঁড়ি তৈরি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে কৃষি, বিপণন, উপভোক্তা, আবাসন ও কর্মক্ষেত্রে এই সংঘবদ্ধ পথে চলার ভাবনা ভোলবদলে দিচ্ছে। সমবায়ের মাধ্যমে ধান কেনা থেকে সমবায়ের স্বল্প সুদে ঋণদান, বাংলার গ্রামীন অর্থনীতির সামগ্রিক বিকাশেও ব়ড় সাহায্য করছে।

ইউরোপের কথা মনে করিয়ে দিয়ে একসময় রবীন্দ্রনাথ লেখেন, কোঅপারেটিভ-প্রণালীই আমাদের দেশকে দারিদ্র্য হইতে বাঁচাইবার একমাত্র উপায়। আমাদের দেশ কেন, পৃথিবীর সকল দেশেই এই প্রণালী একদিন বড়ো হইয়া উঠিবে।’বিশ্বকবির সেই ভাবনাই পরবর্তী কালে স্বাধীন দেশের সরকার গ্রহণ করার চেষ্টা করলেও বাস্তবে সেভাবে সফল রূপায়ণ দেখা যায়নি বলা যায়।তবে বাংলার বর্তমান সরকার অতীতের ত্রুটি –বিচ্যুতি সংশোধন করে সমবায়ের মাধ্যমে সমাজের সব স্তরের মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনার চেষ্টা জারি রেখেছে।পশ্চিবঙ্গ সমবায় আন্দোলন সুগঠিত আইনগত পরিকাঠামো এবং শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।

  • ৩০হাজারের বেশি সমিতি কৃষি, বিপণনের কল্যাণ করছে
  • ৮৯লক্ষাধিক সদস্য সমবায়ের মাধ্যমে উপকৃত
  •  উত্পাদক-উপভোক্তার চাহিদাপূরণ করছে সমবায়

বামআমলে মুখে সমবায়ের মাধ্যমে উন্নতির কথা বলা হলেও বর্তমান সরকার  কাজের মাধ্যমে  সমবায়ের সার্থকতা প্রমাণ করে দেখাচ্ছেন।সমাজকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি এই সমবায়ের মাধ্যমে কার্যকর হচ্ছে।বিশেষ করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড,মত্সজীবী ক্রেডিট কার্ড,ভবিষ্যত্ ক্রেডিট কার্ড,কৃষকবন্ধু,রূপশ্রী,কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প পরিচালনায় পূর্ণ সহযোগিতা করছে।কৃষকের সামগ্রিক উন্নতিতে সমবায়ের অবদান অস্বীকার করা যায় না।সোনার বাংলার কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে এই চিরন্তন সহযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান বড় সাহায্য করছে।শস্যঋণ বাবদ কৃষকরা সমবায় থেকে সুবিধা পাচ্ছে।

  • ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৫.৪৫লক্ষ কৃষককে
  • শস্যঋণে দেওয়া হয়েছে ৪,৬০০কোটি টাকা
  • ২৩এর ৩০নভেম্বর অবধি ১০.৬৯লক্ষ কৃষককে
  • ৩০৭৩কোটি টাকা শস্যঋণ প্রদান

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান থেকে শুরু করে সামাজিক উন্নয়নের নানা কাজ চলেছে সমবায় দফতর।কৃষকদের ধান কেনা থেকে ন্যা্য্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উত্পাদিত সামগ্রী বিক্রির সুযোগ করে দিতে এই সমবায়কে ব্যবহার করা হচ্ছে।তাই রাজ্যে সমবায় প্রথায় সমবিকাশের কাজ যে দ্রুততর হচ্ছে তা বলাই যায়।

 

FREE ACCESS

 

Related Articles