AI দিয়ে তৈরি এবার স্মার্ট ঘর! প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাক লাগালো অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্র…
Smart home made with AI Using technology, two students of the eighth grade put up shelves

The Truth Of Bengal: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে গৃহস্থালির সমস্যার সমাধান করলো বসিরহাটের দুই ছাত্র। স্মার্ট ঘর দেখেছেন কখনও? স্মার্ট ঘর মানে টা বুঝলেন ত…এই ধরুন যে ঘরে পুরোটাই সেন্সর থাকবে, যেখানে নিজেকে কিছুই করতে হবে না বা ধরুন বৃষ্টি এলে তড়িঘড়ি করে ঘরের ছাদে গিয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া জামাকাপড় আর তুলতে যেতে হবে না। ভাবছেন এও সম্ভব নাকি? এবার এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালো বসিরহাটের দুই ছাত্র।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ছাদে পড়লেই সেন্সরের মাধ্যমে জামা-কাপড় গুলি ঘরের মধ্যে পৌঁছে যাবে। আবার বৃষ্টি থামলেই সেই জামা কাপড় গুলি খোলা আকাশের নিচে রোদে পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, একইভাবে দিনের আলো পেরিয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে আলো। আবার রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফোটার আগেই নিভে যাবে আলো। এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ঘর মডেল আবিষ্কার করল বসিরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলের দুই ছাত্র। বসিরহাটের বসিরহাট ২নং ব্লকের বেলের ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের দুই ছাত্র নিজামুদ্দিন গাজী ও মহম্মদ সামিম মন্ডল এই স্মার্ট ঘর আবিষ্কার করলো।যা দেখে রীতিমতো তাজ্জব হওয়ার জোগাড়।
ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্র এই স্মার্ট ঘর তৈরি করায় রীতিমতো সাড়া পড়ল। মূলতঃ ঘরের উপর সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে বৃষ্টি আসলেই নিজে থেকেই সেন্সর থেকে বার্তা গ্রহণ করে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এই বিষয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিজামুদ্দিন গাজী বলেন, “অনেক সময় ছাদে জামা কাপড় শুকাতে দেওয়ার পর হঠাৎ বৃষ্টি আসলে সেই জামাকাপড় তুলতে অনেকেই ভুলে যান কিংবা দেরি হয়ে যায়। এরফলে ভিজে যায় শুকাতে দেওয়া জামা কাপড়গুলি। সেই সমস্যা সহজে দূর করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে সেন্সরের মাধ্যমে স্মার্ট ঘর তৈরি করলাম।”
স্কুলের ল্যাবে পড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে এই স্মার্ট ঘর তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় ছাত্ররা। স্কুলের দুই ছাত্রের অভিনব স্মার্ট ঘর তৈরিতে রীতিমতো সাড়া পড়ল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে।
Free Access