
Truth Of Bengal: সম্প্রীতির সুরে বাঁধা বাংলা।এখানে পুজোর ঘন্টার মতোই শোনা যায় মসজিদের আজান।দেশভাগ,ধর্মীয় হানাহানির নেতিবাচক চিন্তা ছেড়ে বাংলা উদারতার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।দুর্গাপুজোয় দেখা যায়, সংখ্যালঘু মানুষরাও অংশ নেন,আবার ইদের আলিঙ্গনে দেখা যায় হিন্দুরা সামিল হয়েছেন।সেই সম্প্রীতির ধারা চোখে পড়ে চুঁচুড়ায়।হুগলির এই জেলাশহরে রয়েছে ঘোষ বাড়ি।
হিন্দু বাড়িতে যেমন দেবদেবীর পুজো হয়,তেমনই আবার পীরের মাজারে হয় প্রার্থনা।কেন এই ব্যতিক্রমী ছবি দেখা যায় ? চুঁচুড়া শহরের জগুদাস পাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ ঘোষ। তার বাড়িতে রয়েছে পীর বাবার মাজার।দেবাশীষ ঘোষ জানান,তার দাদুর দাদু সাড়ে পাঁচ কাটা সম্পত্তি কিনেছিলেন।এই সম্পত্তি ছিল মুসলিম একজনের।স্বপ্নে তাকে পীর বাবা বলেছিলেন মাজার তৈরি করতে।সেই মাজার তৈরি হয় তারপর কয়েক পুরুষ ধরে মাজারের রক্ষণাবেক্ষণ দেখাশোনা দুবেলা ধূপ সন্দেশ দেওয়া করে আসছেন তারা। অনেকেই মাজারে আসেন মানত করে চাদর চড়ান।মনস্কামনা পূরণ হয় এমনই বিশ্বাস।
এলাকার মানুষ বলছে,রাম রহিমের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। হিন্দু-র যিনি হরি,তিনিই মুসলমানের আ্ল্লা।তাই উপাসনা পদ্ধতি ভিন্ন হলেও উদারতার মন্ত্রে সমাজকে বাঁধার কাজে সহযোগিতা করেন চুঁচুড়ার মানুষ।
প্রতিবেশীরা বলছেন,ছোটবেলায় তাঁরা ঠাকুমার মুখে শুনেছেন, পীর বাবা ঘোড়া ছুটিয়ে আসতেন এই পথ দিয়ে যেতেন।ঘুঙ্গুরের শব্দ পাওয়া যায়।হিন্দুদের দেবদেবীদের যেমন পূজো করা হয় তেমনই পীর বাবার মাজারেও প্রার্থনা করার এই সহাবস্থান জানান দিচ্ছে বাংলা এক ও অভিন্ন।