নদিয়ার কালীগঞ্জে সতীপীঠে ভক্ত সমাগম, রোজগারের নানা সংস্থান বাড়ছে মন্দির চত্বরে
Satipeeth in Kaliganj of Nadia

The Truth of Bengal: কালীগঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামীণ জনপদ জুড়ানপুর। মহাপীঠ নিরূপণ তন্ত্র অনুসারে এই জুড়ানপুরের কালীপীঠ হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের ৫১ টি সতীপীঠের অন্যতম। কথিত আছে মা সতীর করোটির অংশ এখানে কত বছরের পুরনো এই পুজো, তা আজ অবধি সঠিক ভাবে জানা যায়নি। কালীপুজোর সময় করোটি পুজোর পাশাপাশি দেবী জয়দুর্গাও এখানে কালীরূপে পূজিত হন। জানা গিয়েছে, ১২৫ বছর আগে মণীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গঙ্গা থেকে পেয়েছিলেন মূর্তিটি। এই শক্তিপীঠের রক্ষাকর্তা ‘ক্রোধীশ’ ভৈরব।অনেক ভক্ত গোমাতা ছেড়েও দিয়ে যান এই সতীপীঠে।মায়ের আর্শীবাদ নেওয়ার জন্য।
আশেপাশের কাটোয়া, দেবগ্রাম, মুর্শিদাবাদ থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। এমনকী কলকাতার ভক্তরাও জুড়ানপুরের কালীমন্দিরের পুজো দেখতে ভিড় জমান। জানা যায়, ভাগীরথী নদী একসময় জুড়ানপুরের পাশ দিয়েই প্রবাহিত হতো। তার পাশেই ছিল নদীঘাটের অবস্থান। সেখান থেকে এর নাম ‘কালীঘাট’। এখানকার এক সুপ্রাচীন বটবৃক্ষের তলায় মহাদেবী প্রস্তরখণ্ড রূপে পূজিত হন। সাধক শ্রী রামকৃষ্ণ রায়, শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, কুলানন্দ ব্রহ্মচারী, সাধক বামাক্ষ্যাপা এই পীঠ দর্শন করে গিয়েছেন বা এখানে এসে সাধনা করেছেন বলে জানা যায়।
এই জুড়ানপুরের পুজো ঘিরে এক অলৌকিক জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তরা আসছেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে বন্ধুর সংলগ্ন আশেপাশে কিভাবে কোন থাকার জায়গা না থাকলেও মন্দির কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়ে দিলে ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ ভোগের। কিভাবে আসবেন? — শিয়ালদহ থেকে লালগোলাগামী যেকোনো ট্রেনে দেবগ্রাম স্টেশনে নেমে কাটোয়া ঘাটগামী বাসে নিমতলায় নেমে সেখান থেকে টোটো করে জুরানপুরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে কাটোয়া স্টেশনে নেমে ভাগীরথী নদী পার করে জুরানপুরে আসা যায়।