
The Truth of Bengal: কালীক্ষেত্র বীরভূমে ছড়িয়ে আছে প্রচুর মন্দির। সেইসব মন্দিরে হওয়া পুজো চালুর পেছনে আছে নানা অলৌকিক কাহিনি। এমন অনেক পুজো আছে যা কয়েকশো বছরের প্রাচীন। তেমনই একটি পুজো হল বোলপুরের গোয়ালপাড়া গ্রামের বলভদ্র কালী। জেলার মধ্যে এই পুজো অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। বয়স প্রায় ৫০০ বছর। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কোপাই নদী। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কোপাই নদীর ধারে একটি বিশাল শেওড়া গাছ ছিল। ওই গাছের তলায় সাধনা করতেন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী।
তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই শ্যাওড়া গাছের নীচে তাঁর নিজের নাম অনুসারে বলভদ্র কালীপুজো শুরু করেছিলেন। কয়েকবছর পর বলভদ্র গোস্বামী শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই পুজোর দায়িত্ব দেন গ্রামের কাশীনাথ ভট্টাচার্যের হাতে। কিন্তু কাশীনাথবাবুর অবস্থা ভাল না হওয়ার জন্য তিনি এই পুজোর আয়োজন করতে সাহস না পাননি। তান্ত্রিক বলভদ্ৰ গোস্বামী তাঁকে অভয় দেন। পরে এই কালীপুজো যাতে মহাসমারোহে আয়োজিত হয়, সেইজন্য গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা থাকুমণী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের নয় বিঘা জমি ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের দান করেন।
পরে এই বলভদ্র কালী পুজোটি কোপাই নদীর তীর থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে গোয়ালপাড়া গ্রামের কেন্দ্রস্থল বটতলায় স্থাপন করা হয়।তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী যখন মারা যান, তখন তাঁর শেষ ইচ্ছামতো ১০৮টি মড়ার খুলির নীচে কালীপুজোর জায়গায় দেহ সমাধিস্থ করা হয়। তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামীর নির্দেশ মতো কার্তিক মাসে অমাবস্যা তিথিতেই এই পুজো করা হয়। এই পুজো উপলক্ষে গোটা এলাকা আনন্দে মেতে ওঠে। দূর থেকে বহু মানুষ আসে এই পুজো দেখতে।
Free Access