পরম স্নেহে পাখিদের লালনপালন,গাছ না কাটার আবেদন দম্পতির
Rearing birds with utmost love, request of couple not to cut trees

The Truth of Bengal: বর্তমান সময়ে গাছ কাটার ফলে ফিকে হচ্ছে সবুজ। আশ্রয় হারাচ্ছে পাখিরা। পাচ্ছে না খাবার। তাই সেইসব পাখিদের আদর করে এনে খাবার দিচ্ছেন হুগলির দম্পতি। দেবাশিস গুহঠাকুরতা ও পুতুল গুহঠাকুরতার শিবজ্ঞানে জীবসেবা কার্যতঃ চুঁচুড়ার মানুষের কাছে ভিন্ন নজির গড়েছে।
গাছ ছাড়া আমরা বাঁচব না।মানুষের মতো বাঁচবে না প্রাণীরাও।তবুও অবোধ মানুষেরা গাছ কেটে আকাশছোঁয়া সভ্যতার ইমারত তৈরিতে ব্যস্ত।লাগাতার গাছ কাটার ফলে এখন পাখিরাও তাঁদের আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। সেইসব পাখিদের আশ্রয় দেওয়ার মতোই খাবারও দিচ্ছেন চুঁচুড়ার দম্পতি। দেবাশিস গুহঠাকুরতা ও পুতুল গুহঠাকুরতা সবকিছু ছেড়ে আগে পাখিদের পরম অতিথি করে তুলেছেন। অতিথি সেবায় তাঁদের স্নেহের এতটুকু খামতি নেই। নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলস জীবন সেবা কার্যতঃ এই বাড়িটিকে পক্ষীভবন করে তুলেছে। সবার কাছে আলাদা জায়গাও পান তাঁরা। বাড়ির ছাদে বিকাল হতেই বিভিন্ন প্রজাতির রংবাহারি পাখিদের লম্বা লাইন পড়ে। ৬০ টির ওপর পাখি রয়েছে এই পাখিদের আড্ডাখানায়। বুলবুলি, পায়রা,কাক,চড়ুই ও পেঁচা সহ নানা ধরনের পাখি দেখা মেলে এখানে।
পাতপেড়ে পাখিরা মহোল্লাসে এখানে খাওয়া দাওয়া করে। পাখিদের জন্য থাকে এলাহি আয়োজন।চালের খুদ ,ছোলা ,ভাতের মতোই থাকে আপেল সহ নানা ফল দেওয়া হয় । প্রতিদিন নানা আইটেমের খাবার খেতে হাজির হয় একঝাঁক পাখি।এই তীব্র দাবদাহে পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা রাখা হয়।আর এই সব নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন চুঁচুড়া এই দম্পতি।দেবাশীষ বাবু একজন কেন্দ্রে সরকারের অবসর প্রাপ্ত কর্মী। এই 68 বছর বয়সেও নিজের জমানো টাকা দিয়ে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন।মাসে চাল ,চালের খুদ ,ছোলা ও ফল নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেন।এতে তাকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা।কয়েকজন প্রতিবেশি তাদের কিছুটা বিরোধিতা করলেও।তাঁরা এই কাজে অবিচল থেকে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে চলেছেন। তাদের দাবি সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে পরিবেশে খাবারের অভাব থেকে সমস্ত ধরনের পাখিদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।