রাজ্যের খবর

দশহরা উপলক্ষে পুজোপাঠ, ১০ ফুল-ফলে মণসাকে আরাধনা

Puja on the occasion of Dashahara

The Truth of Bengal: মা মনসার কৃপালাভের জন্য পালন করা হয় দশহরা উত্সব। দশ ফল দিয়ে মা মনসাকে  দেওয়া হল পুজো । জৈষ্ঠমাসে গ্রামীন উত্সবে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে গঙ্গাপুজো। গঙ্গা স্নান করে  নানাভাবে পরিত্রাণ পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন ভক্তরা।মূল লক্ষ্য,দেবী যাতে কর্মহল হরণ করে মুক্তি দেন সেজন্যই এই পুজোপাঠ বলে শাস্ত্রবিশেষজ্ঞরা বলেন।সেই রীতি মেনে রবিবার রাজ্যজুড়ে দশহারা উত্সবের জাঁকজমক লক্ষ্য করা যায়।

প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসে পালিত হয় দশহরা। বাংলা মতো নানা রাজ্যে এই শুভদিনে মা গঙ্গাকে তুষ্ট করা হয়। কেউ কেউ বলেন, দশমীর থেকে দশহরা নামকরণ করা হয়েছে। আরও একটি ব্যাখ্যা আছে গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠাকে কেন্দ্র করে।কথিত আছে, দশহরা নামটি এসেছে ‘দশ’ থেকে। পুজোর প্রতিটি বিধির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে দশ সংখ্যাটি।ভক্তরা  বিশ্বাস করেন, এই  পুজো করলে মানুষ  ১০ টি পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। আরও মনে করা হয়, মনসা পুজো করলে কেটে যায় বাস্তুদোষ।  কেটে যায় অশান্তি। পারিবারিক সুখ শান্তি ফিরে আসে। এছাড়াও যাঁরা সন্তানবতী হতে চান, সেই মহিলারাও এই মনসা পুজো করলে, তাঁদের মনের ইচ্ছা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।সাপের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য মা মনসাকে ১০টি ফুল,ফলও ১০টি প্রদীপ দিয়ে পুজো করা হয়।মা মনসার কথা প্রার্থনা করা হয়, কর্মফল হরণ করে মুক্তিফল প্রদান করার জন্য।এই ধর্মীয় রীতিই আসলে ফলদান বিধি।

মনসাপুজো উপলক্ষে কোথাও কোথাও আবার গঙ্গাস্নানের চল রয়েছে। শান্তিপুর বড়বাজার, কালনা ঘাট, গুপ্তিপাড়া ঘাট, বিভিন্ন ভাগীরথী নদী তীরবর্তী এলাকা সহ নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মা গঙ্গার পুজো দেখা যায় । সঙ্গে আয়োজন করা হয় মা মনসার পুজোও। তার সঙ্গে নদীতে চলে পুন্যস্নান। দশহরার দিনে গঙ্গা স্নান করেন, তারপর গঙ্গাপুজো করুন। বিশ্বাস করা হয় গঙ্গার রুদ্র স্রোত  যাতে পৃথিবীকে ধ্বংস না করে, সে জন্য এদিন দেবাদিদেব মহাদেব গঙ্গাকে তাঁর জটায় ধারণ করেছিলেন। পরে পৃথিবীমাতার পক্ষে সহনশীল হবে এই গতিতে ধীরে ধীরে তিনি গঙ্গাকে তাঁর জটাজাল থেকে প্রবাহিত করেছিলেন। তাই এই দিন শিবপূজারও বিশেষ চল রয়েছে।