রাজ্যের খবর

কমিশনের কোপে বিজেপি প্রার্থী! বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল

Nomination of BJP candidate Debashis Dahar from Birbhum has been cancelled

The Truth of Bengal: বাতিল হয়ে গেলে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। বিজেপি প্রার্থী হওয়ার আগে তিনি রাজ্য পুলিশের আধিকারিক ছিলেন। কমিশনের নিময় হল, প্রার্থী হতে গেলে সরকারি চাকরি ছাড়তে হয়। সেই সঙ্গে সরকারের ছাড়পত্র নিয়ে মনোনয়ন দাখিলের ছাড়পত্র জমা দিতে হয়। রাজ্যের সেই ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেল। তবে দেবাশিসের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তাই তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গতকাল এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য  নামে এক ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, এমন ঘটবে আঁচ করেই কি বিজেপি এখানে অন্য প্রার্থী দিয়েছিল?

এরকম কিছু হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। সেই জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রাখে বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্য নামে সেই প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, দলের নির্দেশ মতো তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দল তাঁকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বলে। সেই মতো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বীরভূমে তাদের প্রার্থী দেবাশিস ধর-ই।

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর আগেই মনোনয়ন দিয়েছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচি গুলি-কাণ্ডের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন। কর্মসূত্রে এর আগে তিনি সিউড়ি ও বোলপুরে ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁকে একাহ্নে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এখন তিনি লড়তে পারছেন না বীরভূমে। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি যে হলফনামা জমা দেন তাতে রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র জমা দিতে পারেননি।

২০১৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায়ে বলেছিল, যদি কোনও সরকারি আধিকারিক নির্বাচনী প্রার্থী হন, তা হলে তাকে ‘নো-ডিউস’ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি থেকে তিনি যে পরিষেবা নিয়েছেন, গত ১০ বছরে সেই পরিষেবার জন্য তাঁর কোনও বকেয়া নেই– এ ধরনের ‘নো-ডিউস’ সার্টিফিকেট নিতে হয় প্রতি এজেন্সি থেকে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সেই ‘নো ডিউস’ সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। যদি তিনি তা না করেন তা হলে সেই মনোনয়ন ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেবাশিস ধরের ক্ষেত্রে এই ত্রুটি রয়েছে বলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য বলে জানিয়েছে কমিশন। তাই দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে কমিশন। বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্যকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।

Related Articles