রাজ্যের খবর

বাংলাকে ডিম উতপাদনে স্বনির্ভর করার জন্য নয়া প্রকল্প রাজ্যের

New projects in egg production

The Truth of Bengal: কথায় বলে সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে!  যাঁরা আমিষ খান,তাঁদের কাছে মাছের মতোই ডিমও বড় পছন্দের।  মোটামুটি সকলেই ডিম খেতে ভালোবাসেন। তবে কেউ খান সিদ্ধ, আবার কারও অমলেটই প্রথম পছন্দ। সকালে অফিসের তাড়াহুড়োতে যখন ব্রেকফাস্ট তৈরি করা বেশ সমস্যার হয় । তখন অবশ্যই ভরসা করতে হয় ব্রেড ওমলেট বা ডিমের নানা পদের উপরেই। কখনও বা কলার সঙ্গে সেদ্ধ ডিম দিলে বাচ্চার টিফিন তৈরি হয়ে যায়। এক কথায় সস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবার আর হয় না।এবার সেই ডিমে বাংলাকে স্বনির্ভর করার কাজে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। টার্গেট একটাই ২০২৪-র মার্চের মধ্যে ডিম উত্পাদনে স্বনির্ভর হওয়া।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে গিয়ে আশ্বস্ত করেন,পশ্চিমবঙ্গ আগামীদিনে নিজেরাই পুরোটাই  ডিম উত্পাদন করবে।অন্যরাজ্য থেকে ডিম আমদানি করার কোনও প্রয়োজন হবে না।সেই লক্ষ্যপূরণে রাজ্য সরকার এবার কাজের কাজ করতে এগিয়ে এল। রাজ্যের ৫টি জেলায় অত্যাধুনিক মেগা পোলট্রি ফার্ম তৈরি করা হচ্ছে।মেখলিগঞ্জ,ইংরেজবাজার,পুরুলিয়া,শালবনী ও হরিনঘাটায় ৩লক্ষ করে পোলট্রি ফার্ম তৈরি হচ্ছে। যাতে বার্ষিক ৪৬ কোটির মতো ডিম উত্পাদন করা যায়।প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের তরফে আরও জানা গেছে,নির্ধারিত সময়সীমের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ যাতে ডিম উত্পাদন হলে এব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হয়ে যাবে।চাহিদা অনুযায়ী বছরে ১৪৪০ কোটি ডিম উত্পাদন হলে এই রাজ্য সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হয়ে যাবে।

বর্তমানে বছরে ১২০০ কোটি ডিম উত্পাদন হচ্ছে। ৮৪টি হ্যাচারি সংস্থা রাজ্যে কাজ শুরু করেছে।  ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ ডিম উত্পাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১কোটি বর্তমান উত্সাহমূলক প্রকল্পে ১৫৬টি বেসরকারি পোলট্রি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।২০১৮-১৯এ যেখানে ৩৩কোটি ডিম উত্পাদন  হত এখন সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১কোটি । আগামীদিনে ডিম উত্পাদন বাড়ানোর জন্য মেগা প্রকল্প রাজ্যবাসীর   চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা প্রশাসনের কর্তাদের।বিনা পয়সায় চাল আর কমপয়সায় ডিমের জোগান নিশ্চিত করতে সরকারের ভাবনা সবমহলে  প্রশংসাও আদায় করে নিচ্ছে।

Related Articles