জঙ্গলমহলের নারীশক্তি! বিশ্বময়দানে পায়ের জাদু দেখাতে প্রস্তুত মৌসুমী
Mousumi is ready to show his foot magic at the World Maidan

The Truth of Bengal: বিশ্বময়দানে পায়ের জাদু দেখাতে ডাক পেলেন শালবনীর মৌসুমী মুর্মু। মায়নমারে আর্ন্তজাতিক ফিফা ফুটবল ম্যাচে অংশ নেন তিনি। তাবড় দেশের মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে টক্কর দিতে এই মিডফিল্ডার রীতিমতো টানা প্রাক্টিসও করেছেন। জঙ্গলমহলকন্যার এই স্বপ্নের দৌড়কে কুর্নিশ করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বাঙালির সেরা খেলা ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে স্বপ্নপূরণের লড়াই শুরু করেন শালবনীর মৌসুমী মুর্মু। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ফুটবলের প্রতি আলাদা টান তৈরি হয়।তাই ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় থেকেই ময়দান কাঁপানোর মিশন নেয় জঙ্গলমহলের পড়ুয়া। বাবা চাষবাস করেন,আর মা গৃহবধূ হিসেবে কাজ করেন।সংসারে অভাব রয়েছে,দিন আনি দিন খাই পরিবারের কন্যা মৌসুমী বরাবরই পায়ের দক্ষতায় অন্যদের টেক্কা দেন। আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা সেই বছর কুড়ির মেয়েটি এখন ফিফা আর্ন্তজাতিক ফুটবল ম্যাচের বড় ভরসা। মিড ফিল্ডার হিসেবে তিনি যেমন রক্ষণভাগকে শক্তি জোগান,তেমনই আবার আক্রমণভাগেও ঝড় তোলেন। উভয় অংশের খেলোয়াড়দের কাছে কার্যতঃ তিনি পাওয়ার সেন্টার হয়ে ওঠেন।সেই লড়াকু মৌসুমী এখন দেশের মুখ উজ্বল করতে মায়নমার পাড়ি দিয়েছেন।তাঁর সাফল্যের সোনালী পথ কেমন ছিল ? লড়াইটা কতটা কঠিন ছিল ? কিভাবে বিশ্বময়দানের বাজিগর?
শালবনী থেকে সুদূর মায়ানমার, চাষীর মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত জেলার মানুষ। আনন্দে আত্মহারা ফুটবলপ্রেমীরা। দেশের হয় খেলতে যাচ্ছে বলে জঙ্গলমহলের মানুষের খুশির অন্ত নেই।প্রথম একাদশে মৌসুমির সুযোগ পাওয়ার প্রহর গুনছে শালবনী সহ জেলার মানুষ। বাবা সুজিত মুর্মু একজন কৃষক, মা অতি সাধারণ গৃহবধূ। বাড়িতে মৌসুমীরা দুই বোন এবং এক ভাই। ছোট থেকেই তাঁর শখ ফুটবল খেলা । ফুটবল পায়ে শুরু তার লড়াই। বর্তমানে মৌসুমী শালবনি পুলিশ স্টেশনে সিভিক পদে কর্মরত। পাশাপাশি পড়াশোনা চলছে কলেজে। মৌসুমির বাড়িতে শুধু নয় গোটা জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া।
বিদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় গোটা মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে মৌসুমী। মৌসুমী ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে কন্যাশ্রী কাপ খেলেছেন, শালবনী এই মেয়ে এখন কলকাতার শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।এখন দেশের জার্সি গায়ে ময়দানে নামার যে আবেগ তা সবকিছুকে যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে।