রাজ্যের খবর

পাখিরালয়ে কমছে পরিযায়ী পাখি, সবুজ ফিকে হওয়ায় সঙ্কটে পাখিরা

Migratory birds are decreasing in the aviary, the birds are in crisis as the green fades

The Truth of Bengal: পাখি সব করে রব-এই কথা শোনা যেন কঠিন হয়ে পড়ছে।কারণ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য পাখি।অথচ সাহিত্য থেকে সৃষ্টির নানা উপাদানে এই পাখিদের কথা উল্লেখ রয়েছে। আদি কবি থেকে জীবনানন্দ, হোমার থেকে হুইটম্যান সবার লেখায় পাখিরা  বার বার ফিরে ফিরে এসেছে।২০২৩-এর ২৫ আগস্ট ‘স্টেট অফ ইন্ডিয়া’জ বার্ড’- নামে সংস্থাটির একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়। প্রায় ৩ কোটি পাখির সার্বিক অবস্থা ও বিন্যাস নিয়ে পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় ১০১টি প্রজাতির পাখিকে অবিলম্বে সংরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছিল। মোট ৯৪২টি প্রজাতির পাখিকে সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করেছিল।

তার মধ্যে ১৭৮টি প্রজাতিকে জরুরি ভিত্তিতে সংরক্ষণের জন্য চিহ্নিত।এই অবস্থায় এখন বড়ো শহর তো বটেই, শহরতলিতেও ক্রমশ দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে পাখিরা। চড়াই, শালিক-সহ অনেক পাখির দেখা মেলা হয়ে উঠছে কঠিন। অবলুপ্তির মুখে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড’ গোত্রের পাখি। আন্দামানের সর্প ঈগল, নীলগিরি পাহাড়ের লাফিংথ্রাস পাখি, গ্রেট গ্রে শ্রাইক, শকুন ইত্যাদি প্রজাতির পাখিদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তবে, আশঙ্কার মধ্যেও বেশ কিছু প্রজাতির পাখির সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়েছে।

কোকিল ও পায়রা যার মধ্যে  গবেষকদের অনুমান, এইভাবে চললে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যে।তাই এখন কুলিক পাখিরালয়ে আর সেভাবে দেখা মিলছে না।তাই পরিবেশপ্রেমীরা ভীষণ চিন্তিত। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পাখিরালয়ে সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। ২০২৩ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সে  ভাবে আসছিলো না। ওপেনবিল স্টকের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় কমে দাঁড়ায় ৩৭ হাজার ৪৪,নাইট হেরেন ১১ হাজার ৪৪৫,ইগ্রেট ১৯ হাজার ৭০৩,করমোরেন্ট ৯৮৪৮ ,মোট পরিষায়ীর সংখ্যা দাঁড়ায়  ৭৮১৪১। এবছরেও কী একই পরিস্থিতি হবে ,প্রশ্নটা উঠছে বড় করে।

Related Articles