রাজ্যের খবর

ভিক্টোরিয়ার মূর্তির মতোই রয়েছে লন্ডনের নানান স্থাপত্য রীতি

Like Victoria's statue, there are many architectural styles in London

Truth Of Bengal:  খাস কলকাতায় রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সেই শ্বেতশুভ্র স্মৃতিসৌধ দেখার জন্য দূরদূরান্তের মানুষেরা আসেন।  যেটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা হিসেবে ভূভারতে সুনাম আদায় করেছে। কলকাতা নয়, এবার কৃষ্ণনগরের চরশম্ভুনগরে গেলেই দেখা যাবে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার মূর্তি। ব্রিটিশ ভাস্কর্যের বনেদিয়ানাকে সঙ্গী করে, এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল আবাসন। যেখানে এলে আপনি কলকাতার মতোই চাক্ষুষ করতে পারবেন স্থাপত্যরীতি।

ইটের গায়ে রয়েছে লাল রংয়ের ছোঁয়া, কাঠের দরজার নকশা বলে দেয় আমি দাঁড়িয়ে আছি শতাধিক বছর ধরে। কয়েক যুগ আগে ওই গ্রামে বসবাস করতেন মাত্র ২০০ টি পরিবার, চলছিল ব্রিটিশ রাজত্ব। সেই সময় গোবর্ধন আগরওয়াল নামে এক জমিদার তৈরি করেছিলেন এই আবাসন। গ্রামের প্রবীনদের কথায়, তারা বাবা ঠাকুর দাদাদের কাছ থেকে শুনতে পেয়েছিলেন এই আবাসনে যাতায়াত করতেন ব্রিটিশরা। সময়ের পরিবর্তনে জমিদারি ধ্বংসের পথে চলে যায় গোবর্ধন আগরওয়াল এর। বাধ্য হয়েই আবাসনটি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে এই আবাসনে যাতায়াত করত সরকারি আধিকারিকরাও, কিন্তু বর্তমানে বিলাসবহুল আবাসন টির কিছুটা ভগ্নদশা হলেও এখনো পর্যটকদের কাছে অনন্য। জমিদারী আমলে এই আবাসনের বৈভব নজরে আসে। জৌলুস কমলেও স্থাপত্যের গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি।

প্রত্যন্ত গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার মত এক অনন্য চিত্র এখনো যেন জ্বলজ্বল করছে সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। রয়েছে ভিক্টোরিয়ার ছোঁয়া, লন্ডনের বিলাস বহুল আবাসনের মতো হুবহু আবাসন দাঁড়িয়ে রয়েছে খোলা আকাশের নীচে। জানা যায়, কয়েক যুগ আগে ওই গ্রামে বসবাস করতেন ২০০ টি পরিবার, চলছিল ব্রিটিশ রাজত্ব। সেই সময় গোবর্ধন আগরওয়াল নামে এক জমিদার তৈরি করেছিলেন এই আবাসন। গ্রামের প্রবীনদের কথায়, তারা বাবা ঠাকুর দাদাদের কাছ থেকে শুনতে পেয়েছিলেন এই আবাসনে যাতায়াত করতেন ব্রিটিশরা। সময়ের পরিবর্তনে জমিদারি ধ্বংসের পথে চলে যায় গোবর্ধন আগরওয়াল এর।

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, নদীয়া জেলা নয়, গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে এই ধরনের প্রাচীন জমিদারি আবাসন দেখা মেলা বড়ই ভার। রংবেরঙের পাখিদের কিচিরমিচির ডাক, ফুলের অরণ্য, আরো কত না কি অপূর্ব সুন্দর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে অতি প্রাচীন বাংলোটি। তবে লোকমুখে শোনা যায়, বাড়িটি বর্তমানে কোম্পানির বাড়ি নামেই পরিচিত, তবে কি কারনে এই নামে পরিচিত তা অজানা গ্রামবাসীদের কাছে। বর্তমানে চড় শম্ভু নগর গ্রামে হাজার হাজার পরিবারের বসবাস, কিন্তু এখন প্রাচীন ঐতিহ্যের ছোঁয়া রয়েছে এই অতি প্রাচীর আবাসন ঘিরে।  প্রতিদিন লেগে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা, এক প্রকার বলা যেতেই পারে প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে এই আবাসন আরো যেন মুগ্ধ ময়, ঠিক তেমনি পর্যটকদের জন্য যেমন গ্রাম বাংলার ভিক্টোরিয়া পাশাপাশি সুদূর লন্ডনের আবাসন গুলির মত কারুকার্য।

Related Articles