রাজ্যের খবর

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে বাড়ি! এখনই সাবধান হয়ে যান

Landslide Issue in Raniganj

The Truth of Bengal: উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের। অনেক আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমানের প্রশাসনিক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘যেকোনো মুহূর্তে রানিগঞ্জ ধসে যেতে পারে। ইসিএলকে জানানো সত্বেও কোনও ফল মেলেনি। রাজ্য সরকার ২৯ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তারপরেও ইসিএলের কোনও ঘুম না ভাঙায় রাজনিতিক স্তরের মতোই প্রশাসনিক স্তরেও দড়ি টানাটানি হয়।

এবার সেই বিতর্কের মাঝেই বারাবনির ফরিদপুরে ধস নামল। স্কুলের সামনে ধস নামায় আতঙ্ক চরমে পৌঁছায়। পাশেই রয়েছে রেললাইন। সেখান দিয়েই চলাচল করে প্যাসেঞ্জার ও মালগাড়ি। বারবার এই অঞ্চলে ধস নামায় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক দানা বাঁধছে। ঘুম ছুটে যাচ্ছে বাসিন্দাদের। ইসিএল বাড়ির ফাটল ধরলেও কেন কোনও ফুলপ্রুফ ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা। আসানসোলের বিভিন্ন এলাকার মতোই ফরিদপুর এলাকায় ধসের আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরায় এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন কোখায় তাঁরা থাকবেন? মাথার ছাদের কী হবে? এই প্রশ্নই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে সকলকে।

কেন্দ্রীয় সংস্থা ইসিএলের অবিবেচক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রূপায়ণের দাবিতেও সোচ্চার খনিঅঞ্চলের বাসিন্দারা। গত বুধবার ইস্কুলের সামনে ই সি এল কর্তৃপক্ষ   দেখে গেছে। কিন্তু ভাঙন কবলিত এলাকায় পুনর্বাসনের কোনও পদক্ষেপই নজরে পড়ছে না। কেন কারুর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই তা নিয়ে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় থাকা মানুষ প্রশ্ন তুলছেন।

Related Articles