পাখিদের স্বর্গরাজ্য, শাল-পিয়ালের জঙ্গল কেশরগড়

Truth Of Bengal: বিভিন্ন ঋতুতে জঙ্গল সেজে ওঠে নতুন রূপে। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় অরণ্যের বাহার। অরণ্য যেন হয়ে ওঠে শিল্পীর ক্যানভাস। এবারের প্রতিবেদনে এক অফবিট পর্যটন কেন্দ্রর হদিশ দেব। এ কোনো জনপ্রিয় অরণ্য নয়। এই জঙ্গলে কোনো বাঘ, গণ্ডার ইত্যাদি নয়। সৌন্দর্যর বিচারে পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় কেশরগড় জঙ্গল। অনেকে এই জঙ্গলকে রাকাব ফরেস্ট বলে।

পাহাড় জঙ্গল অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের জেলা পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকে অবস্থিত কেশরগড় জঙ্গল বা রাকাব ফরেস্ট। এক সময় কাশীপুরের রাজাদের শিকার করার জায়গা ছিল কেশরগড়ের জঙ্গল। শাল, পিয়ালের জঙ্গলে দেখা মেলে নানান রকমের পাখির। মহারাজা কেশর ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে ব্রিটিশরা তাঁকে পরাস্ত করে ফাঁসি দেয়।

জঙ্গলের মধ্যে দেখতে পাবেন কাশীপুর রাজাদের আমলে নির্মিত মন্দির, রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ। কেশরগড় জঙ্গলের কাছে রয়েছে পুরুলিয়ার নয়া পর্যটন কেন্দ্র ফুটিয়ারি ড্যাম। বাঁধের কাছে রয়েছে ২টি পাহাড়-পাঞ্জোনিয়া ও তিলাবণী। ফুটিয়ারির কাছে রয়েছে দুর্গা শিং ডাঙা। অনেকে বলেন এখান থেকে উৎপত্তি হয়েছে দ্বারকেশ্বর নদের। ফুটিয়ারি ড্যামের কাছ থেকে শুরু পলাশের জঙ্গল। ফুটিয়ারি থেকে কেশরগড় জঙ্গলের দূরত্ব ঘণ্টা খানেকের। ফুটিয়ারিতে বেশ কিছু অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস চালু হয়েছে।

কীভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে পুরুলিয়াগামী ট্রেনে চেপে নামতে হবে পুরুলিয়া বা আনাড়া স্টেশনে। এখান থেকে গাড়িতে করে আসা যায় ফুটিয়ারি ড্যাম। পুরুলিয়া থেকে দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার আর আনাড়া থেকে দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। সড়ক পথে এলে পুরুলিয়ার আগে লোধুড়কা মোড়ে এসে সেখান থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ফুটিয়ারি। থাকার জন্য বেশ কিছু রিসর্ট আছে।