চুঁচুড়ায় কার্তিক পুজোর নিরঞ্জনে শোভাযাত্রার জোরকদমে প্রস্তুতি
Truth of Bengal: হুগলি জেলার সদর শহর চুঁচুড়ার কার্তিক পুজো এবং নিরঞ্জন শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে ঘিরে শহরের প্রতিটি কোণায় প্রাণের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চুঁচুড়া সহ গঙ্গার তীরবর্তী বাঁশবেড়িয়া, শ্রীরামপুরের মতো অঞ্চলেও কার্তিক পুজোর ছোঁয়া পড়েছে। চুঁচুড়ার কার্তিক পুজো কমিটির উদ্যোগে এবারে বিশাল আকারে নিরঞ্জন শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির তরফে জানানো হয়, চুঁচুড়া ও হুগলির বিভিন্ন এলাকায় মোট ১০৪টি কার্তিক পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি পূজা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তর্ভুক্ত। শুধু কার্তিক পূজাই নয়, মহাদেব পূজাও এই শোভাযাত্রার অংশ হতে চলেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ-টা থেকে চুঁচুড়ার রাজপথে শুরু হবে নিরঞ্জন শোভাযাত্রা। এবারে শোভাযাত্রায় ২৪টি পূজা কমিটি ও অন্যান্য কয়েকটি সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। বিশেষভাবে শোভাযাত্রায় ১৬টি লরির প্রতিমা এবং আটটি ট্রলির প্রতিমা অংশ নেবে। বারোটি আয়োজক সংস্থা শোভাযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে বিচার করবে। কেন্দ্রীয় কমিটির নিজস্ব বিচারকরাও শোভাযাত্রার আয়োজন ও শিল্পের দিক বিচার করবেন। সেরা আয়োজক সংস্থা নির্বাচিত করা হবে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং চুঁচুড়া থানার তরফ থেকে নিরঞ্জন শোভাযাত্রার জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শব্দ দূষণ এড়াতে এবারে শোভাযাত্রায় ডিজে বক্স এবং শব্দবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ও দর্শকদের মাদক সেবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শোভাযাত্রার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, এবং জরুরি হাসপাতালের রাস্তা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রাখা হবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে পানীয় জলের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। চুঁচুড়ার কার্তিক পুজো শহরের ঐতিহ্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোক্তারা জানান, অতীতে বণিক সম্প্রদায়ের লোকেরা অধিক পুত্র প্রাপ্তির আশায় এই পূজার প্রচলন করেন। সেই প্রাচীন রীতির ধারাবাহিকতায় শতাধিক পূজা এখনো চুঁচুড়া শহরের গর্ব। অনেক পুজো এবছর শতবর্ষে পদার্পণ করল। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবারের শোভাযাত্রা সম্পূর্ণরূপে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বদ্ধপরিকর। তারা আশা করছেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতা মিশলে এই শোভাযাত্রা চুঁচুড়ার নামকে আরও গৌরবান্বিত করবে। আগামীকাল সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার রাজপথে সেই মহোৎসবের সাক্ষী থাকতে প্রস্তুত শহরবাসী।
