সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ‘স্বাধীনতা হরণ’, বিজেপিকে নিশানা কল্যাণের
Kalyan targets BJP for 'taking away freedom' of constitutional institutions

Truth Of Bengal: দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করছে বিজেপি। সংবিধান রক্ষায় কমিশনের প্রয়োজন একাধিক রাজ্যে একই এপিক নম্বর বন্ধ করে ইউনিক আইডেনটিটি নম্বর চাল করা। ভূতুড়ে ও বহিরাগত ভোটার নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কমিশনের দরবারে স্বচ্ছতা ফেরানোর দাবি রাখতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিরা।
সংবিধান মানছে না বিজেপি, নির্বাচন কমিশন, কন্ট্রোলার অডিটর জেনারেল, রাজ্যপালের মতো নিরপেক্ষ সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা নিচ্ছে। ২৬-র ভোটের আগে কেন্দ্র বিরোধী সুর চড়িয়ে ময়দানে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভুয়ো ভোটার,ভূতুড়ে কাণ্ড, এপিক নম্বরের বিভ্রান্তি,বহিরাগতদের বাংলার ভোটার তালিকায় খোঁজ মেলা নিয়ে যখন রাজ্যরাজনীতি সরগরম তখন জাতীয় স্তরে তার আঁচ লাগতে চলেছে।
সংসদের মতোই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দুয়ারে গিয়ে বিহীত চাইতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার বিকেলে কমিশনের দরবারে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০সদস্যের প্রতিনিধি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকার গরমিল ধরতে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইউনিক ভোটার তালিকা চালুর কথা দিয়েছে। তৃণমূলের ১০সদস্যের প্রতিনিধিদল এপিক বিভ্রাট ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবি পেশ করবেন।
মঙ্গলবার তাই সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া ও কমিশনের নিরেপক্ষতা বজায় রাখার বিষয়ে জোর দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিমের সদস্যরা। তৃণমূল প্রথম রাজনৈতিক দল, যারা বিষয়টি নিয়ে ভোটের আগেই কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমআদমিপার্টি, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী, এনসিপি দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার বহিরাগত ভোটার নিয়ে মুখ খুললেও জাতীয় স্তরে কোনও দাবি আদায় করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার ভোটার তালিকায় শুদ্ধিকরণ নিশ্চিত করতে পারলে তা জাতীয় স্তরে যে বড় নজির হবে তা বলাই যায়।