সুন্দরী দেখলেই ঘনিষ্ঠতা বাড়াতেন জগন্নাথ, বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলা নেত্রীর
Jagannath used to get close whenever he saw a beautiful woman, the explosive allegation of the female leader

The Truth Of Bengal : সন্দেশখালির সাজানো নির্যাতনকাণ্ড থেকে রাজ্যপালের নারী নিগ্রহের অভিযোগ, সব ইস্যুতেই এখন জেরবার বিজেপি। কিভাবে ড্রামেজ কন্ট্রোল করা যাবে তা নিয়ে ঘুম ছুটেছে গেরুয়া নেতাদের। বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তার মাঝে বেআব্রু হল জগন্নাথের কুকীর্তি। অভিযোগ, সুন্দরী মহিলা দেখলেই তিনি কাউকে ফ্ল্যাট দেন,কাউকে আবার এইমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। একথা তুলে ধরছেন,বিজেপির নেত্রী পূর্ণিমা দত্ত।পূর্ণিমার বোমায় বেসামাল রাজ্য বিজেপি।ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের মুখ পুড়ল বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ।এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারান। উল্লেখ্য,পূর্ণিমা দত্ত বিজেপির রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন। দলে থাকাকালীন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দল ছাড়ার বিষয়ে পূর্ণিমা দত্ত বলেন, সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অশালীন ব্যবহার এবংনিম্নমাণের রুচিবোধ তা সহ্য করতে না পেরে তিনি দল ছেড়েছেন। তিনি বলেন, বান্টি রায় নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সেই মহিলাকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন জগন্নাথ সরকার। পাশাপাশি তার অভিযোগ তার ছেলেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তি করে দিয়েছেন সাংসদ থাকাকালীন। অন্যদিকে তার মেয়েকে এমসে একটি চাকরিও করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় এছাড়াও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জগন্নাথ সরকারের বলে অভিযোগ করেন পূর্ণিমা দত্ত। পূর্ণিমা দত্ত বলেন তার এই অবৈধ সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, জগনাথ সরকারের স্ত্রীও এখন তাকে একা ছাড়তে ভয় পায়। উল্লেখ প্রাক্তন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কিছু ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করতে এসেও জগন্নাথ সরকারকে এই অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন জগন্নাথ সরকারের যে একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।
এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন এই অভিযোগের যদি সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ ভোটে আর লড়াই করবেন না। বিভিন্ন অডিও এবং ভিডিও ভাইরাল নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান জগন্নাথ সরকার। সাংবাদিকদের প্রতি ব্যক্তির আক্রমণ করতে থাকেন তিনি।
তবে জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেন পূর্ণিমা দত্ত। পূর্ণিমা দত্ত বলেন আমার অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন হয়ে থাকে তাহলে জগন্নাথ সরকারের ক্ষমতা থাকলে আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। কিন্তু উনার সাহস নাই আদালতে মামলা করার। কারণ তাহলে সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে।