চতুর্থ দফায় ঝুঁকিপূর্ণ বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি, নিরাপত্তায় আরও জোর দিচ্ছে কমিশন
Fourth Phase Vote

The Truth of Bengal: বড় কোনও অশান্তি ছাড়াই প্রথম তিনটি দফার ভোট মিটে গিয়েছে। আগামী ১৩ মে সোমবার চতুর্থ দফায় বাংলার আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে। আগের তিনটি পর্বের মতো এই পর্বেও যাতে শান্তিতে ভোট করানো যায় তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। জোর দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায়। আগামী ১৩ মে গোটা দেশের ১০ রাজ্যে ৯৬টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। এই পর্বে বাংলার আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে। সেই লোকসভা কেন্দ্রগুলি হল কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বহরমপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোল। চতুর্থ দফায় ভোটে বুথের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০৭টি। তার মধ্যে ৩৬৪৭টি বুথই ঝুঁকিপূর্ণ।
২০ মে পঞ্চম দফায় বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ ভোট হবে। কমিশনের হিসাবে, ওই আসনগুলির মোট বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৮১টি। তার মধ্যে ৭৭১১টি বুথই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বুথের নিরিখে সবার শীর্ষে আছে হুগলি। যেখানে ৮৭ শতাংশ বুথ ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরেই আছে হুগলির আর এক কেন্দ্র আরামবাগ। যেখানে ৮৫ শতাংশ বুথ ঝুঁকিপূর্ণ। তৃতীয় স্থানে আছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর। যেখানে ৬৭ শতাংশ বুথ ঝুঁকিপূর্ণ এবং শ্রীরামপুরে ৫৯.৫৩ শতাংশ বুথ ঝুঁকিপূর্ণ। চতুর্থ দফায় ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাই লক্ষ্য কমিশনের। বুথের চরিত্র অনুযায়ী নিরাপত্তা বলয় সাজাতে চাইছে কমিশন। যে সব ক্রিটিক্যাল বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই সব বুথে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ হবে। সেই সঙ্গে থাকবে ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা। আগের তিনটি পর্বে ভোট মিটেছে শান্তিতেই। কমিশন চাইছে নিরাপত্তার সেই ধারা বজায় রাখতে। ভোট-বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথম তিন দফায় বড় ধরনের গোলমাল হয়নি। কিন্তু চতুর্থ দফায় ঝুঁকিপূর্ণ বুথের সংখ্যা বলছে, শান্তিপূর্ণ ভোট করানো এবার চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের।