অবৈধ বালি কারবার, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা, প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ
Illegal sand trade, political tension at its peak, strict action by the administration

Truth Of Bengal: রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালি কারবার। নদীবক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। এই নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব তৃণমূলের। যেই অন্যায় করুক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা। মালদার ভূমি রাজস্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচচ্ছে।
একেই বোধহয় বলে বিনা পুঁজির ব্যবসা। সরকারকে রয়্যালিটি না দিয়ে, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে চলছে বালি লুটের কারবার। দিনভর নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেসিবি আর ট্রাক্টর। সবমিলিয়ে দৈনিক বিপুল টাকার কারবার। এই কারবার চলছে মালদার ইংরেজবাজারের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায়। স্থানীয়ভাবে মহানন্দার এই এলাকা পরিচিত ‘মেলা ঘাট’ নামে। প্রথমে নদীবক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। এরপর ট্রাক্টরে বোঝাই করে সেই বালি জমা করা হচ্ছে দূরে এক নির্জন এলাকায়। বিপুল পরিমাণ বালির মজুত ভান্ডার! বালি লুটের এই অবৈধ কারবারের কথা স্বীকার করছেন জেসিবি চালক থেকে ট্রাক্টর কর্মী। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছে বিজেপি।
স্থানীয়রা বলেন, এই অবাধ বালি চুরির কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। মাঝে পুলিশ হানা দিয়ে গাড়ি আটক করায় কয়েকদিন বন্ধ ছিল। ফের কারবার শুরু। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এই অবৈধ কারবারের পেছনে রয়েছে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী শিস মোহম্মদ যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তি এলাকায় পরিচিত ‘জুলুম’ নামে। ইংরেজ বাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, যদি অবৈধভাবে কেউ কারবার করে থাকে রয়াত করবে না প্রশাসন।যদিও মালদার ভূমি রাজস্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবহুতী ইন্দ্র জানিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। অবৈধ বালিকারবার রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয় বলে তিনি জানান।
আবারও প্রকাশ্যে দিবালোকে বালি চুরির ঘটনা মালদায়। মহানন্দায় জেসিবি নামিয়ে তুলে ফেলা হচ্ছে দেদার বালি। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে কোটি কোটি টাকার কারবার। বালি মাফিয়াদের দাপটে তটস্থ স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই নদীবক্ষে তৈরি হচ্ছে বিশাল বিশাল গর্ত। অভিযোগ,বেআইনি কারবারের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী চক্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এবার কড়া বার্তা।