
The Truth of Bengal: নদীর চর দখল করে নির্মিত অবৈধ বিল্ডিং চিহ্নিত করল সেচ দফতর। ইছামতি নদীর চর দখল করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র বিল্ডিং নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। গুরুত্ব দিয়ে আমরা সেই খবর দেখিয়েছিলাম। সেচ দফতর, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা বসিরহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নদীর চরে বেআইনি বিল্ডিং চিহ্নিত করলেন। পাশাপাশি ইটিন্ডা রোড রেজিস্ট্রি অফিসের মোড় থেকে ইছামতি ব্রিজ অর্থাৎ বোটঘাট পর্যন্ত ৫০০ মিটার নদীর চরে যাতে কেউ বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণ না করতে পারে, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দিয়ে বয়ে গিয়েছে কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ইছামতি নদী। আজ সেই নদীর নব্যতা যেমন হারাচ্ছে অন্যদিকে চরিত্র বদল ঘটছে। ফলে এক পাড় ভাঙছে আর এক পাড় গড়ছে। আর ঠিক সেই সুযোগে বসিরহাটের রেজিস্ট্রি অফিস মোড় চত্বরে ইছামতির চর দখল করে ঝাঁ চকচকে চারতলা বিল্ডিং বানাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে শহর বসিরহাট। নদীর চরে এই নির্মাণ গড়ে ওঠায় চিন্তিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা নদীর চরিত্র পরিবর্তন, অবৈধ নির্মাণ ও নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্টের মতো ঘটনার অভিযোগ করেছেন বসিরহাটের মহকুমা শাসকের দফতরে। ক্ষোভপ্রকাশ করে মানুষ। এই নিয়ে বসিরহাট পুরসভা ও বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছেন।যে ভাবে ইছামতী নদীর চর দখল করে কিছু অসাধু লোক অবৈধ নির্মাণ করে নদীর চরিত্র বদলে দিচ্ছিল, তাতে ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল এলাকার মানুষের মধ্যে। প্রশাসনের এই সক্রিয়তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।