সন্দেশখালিতে যেভাবে মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে আমি মর্মাহত, বসিরহাটের জনসভায় বললেন মমতা
I am shocked by the way women have been disrespected in Sandeshkhali, says Mamata at Basirhat rally

The Truth of Bengal: বসিরহাটের মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে দখল করার খেলায় নেমেছে বিজেপি। মন্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই ষড়যন্ত্রের প্ল্যানপ্ল্যান- A ছিল সন্দেশখালি। মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন বিজেপির সেই প্লান- A বাতিল করে দিয়েছে সেখানকার জনগণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্দেশখালিতে যেভাবে মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে তাতে আমি মর্মাহত। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ গোছাতে মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালি ষতে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মা-বোনেদের নিয়ে অসম্মানের খেলা করা হয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের আগে বিরোধীরা অস্ত্র করে সন্দেশখালি ইস্যু।
কিন্তু সন্দেশখালির আসল সত্য স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।ভিডিয়োয় দেখা যায়, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করছেন,তাঁরা ২হাজার টাকার বিনিময়ে মিথ্যে নির্যাতনের গল্প তৈরি করেছিলেন।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন।টাকা আর মোবাইল দিয়ে বিরোধী দলনেতা চিত্রনাট্য সাজান বলে নিজের মুখে গঙ্গাধর ফাঁসও করেন।স্টিং অপারেশেন ভিডিয়ো বাংলা জাগো সত্যতা যাচাই করেনি।কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন,দুটি পর্বে প্রকাশিত ভিডিয়োয় পরিষ্কার,বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যুতে ব্যাকফুটে।বেকায়দায় পড়ে রেখা পাত্রের স্বীকারোক্তিতেও।বিজেপির প্রার্থী স্বীকার করেন,রাষ্ট্রপতি ভবনে নির্যাতিতাদের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।জানুয়ারি থেকে যে ইস্যুতে বিজেপি সহ বিরোধীরা তোলপাড় ফেলার চেষ্টা করছিল তাই দীর্ঘ ৪ মাস পর বিরোধীদের বিড়াম্বনায় ফেলে। এই রাজনৈতিক আবহের মধ্যে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাটে নির্বাচনী জনসভা করলেন। এদিনের সভা থেকে সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতির কড়া জবাব দিলেন।
গত ৫জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি-র আধিকারিকরা হেনস্থার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বিরোধীদের বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ আকার নেয়। সামনে আসে নারী নির্যাতনের ইস্যু। অগ্নিগর্ভ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ-প্রশাসন। একে একে গ্রেফতার হন শিবু হাজরা,উত্তম সর্দার।পরবর্তী সময়ে ইডি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন,তিনি কতটা রাফ অ্যান্ড টাফ।আইনের শাসনকে সবার উর্ধ্বে জায়গা দিতে তিনি যে কঠোর হতে পারেন সেই বার্তাও দেন প্রশাসনিক প্রধান। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দিল্লির নেতারা এই বিষয়ে সর্বভারতীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে বেঁধার জন্য উঠেপড়ে লাগে।আর স্টিং অপারেশনের পর বাংলা বিরোধী সন্দেশ দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মোদিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় তোপ দাগছেন মমতা। তার মাঝে মঙ্গলবার বসিরহাট থেকে বিরোধীদের রাজনীতি নিয়ে কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল সু্প্রিমো।