শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় আগুনের মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব? সিপি-কে বাড়তি দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর
How is it possible to fight fires in dense areas of the city? CM gives additional responsibility to CP

Truth Of Bengal: অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটের মধ্যেই বড়বাজার থানার এজরা স্ট্রিটে টেরিটি বাজারে একটি কাঠের বাক্সের গুদামে আগুন ধরে গিয়েছিল। মুহূর্তে তা আরও কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ অগ্নি সংযোগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল দমকলের ১২টি ইঞ্জিন।
বুধবার পোস্তা বাজারে ব্য়বসায়ীদের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে ওই প্রসঙ্গ টেনে আনলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেরিটি বাজারে অগ্নি সংযোগের কাণ্ড যে বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, তা স্পষ্ট করে এদিন নিজের বক্তৃতার মাঝে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “আপনাদের এখানে কেন ঘন ঘন আগুন লাগে?”
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলতে শোনা যায়, “এরপর বড়বাজারে আগুন লাগলে, আগুন নেভাতে দেরি হলে দমকলকে দায়ী করবেন না যেন!”
পরক্ষণেই স্পষ্ট হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর রাগের কারণ। মমতা বলেন, “এত অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক কেন রেখেছেন আপনারা? দরজার সামনে, ভেতরে অনেকেই দাহ্য পদার্থ রাখেন। এতে তো নিজেদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। মনে রাখবেন, জীবনের চেয়ে আর কোনও কিছু বড় হতে পারে না।”
এই প্রসঙ্গে শহরের জীর্ণ বাড়ির প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আক্ষেপের সুরে মমতা বলেন, বহু বাড়ি জীর্ণ। পুরসভা সেগুলি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরও বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন না। যেন পুরসভা সেই বাড়়ি দখল করে নেবে!