
Truth Of Bengal: বেআইনি বালি চুরি রুখতে প্রশাসন এবার উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চাইছে। জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে বালি তোলার গাড়িতে। বলা যায়,বালি চুরি ঠেকাতে রাজ্য সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে।অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে বেআইনি বালির কারবার নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। অসাধু চক্রের দাদাগিরি রুখতেবালি খাদান থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য ই-চালান চালু রয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বালি সরবরাহের গাড়ির চালক ই-চালান নিচ্ছেন না বা কম অঙ্কের ই-চালান নিচ্ছেন। যারজন্য সরকারের রাজস্ব আদায় মার খাচ্ছে।
২০২১এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালির মতো খনিজ সম্পদ মাফিয়াদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেন। তিনি ঘোষণা করেন স্যান্ড মাইনিং পলিসি।মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন,সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনওরকম বালি পাচার করা যাবে না,বেআইনি বালির কারবার করা যাবে না।সেজন্য নদ-নদীর ঘাটে চলে নজরদারি।শুরু হয় দেদার ধরপাকড়। বাংলা জাগোর পর্দায় আমরা বেআইনি বালি পাচারের ছবি তুলে ধরেছিলাম।প্রশাসনের নজরে আসতেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বালি খাদানের মতোই নানা ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে এই রাজস্ব অনেকটাই বাড়বে বলে মত প্রশাসনিক মহলের। জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু হলে যেটুকু বেআইনি কাজ এখন হচ্ছে, তাও আটকানো যাবে মনে করা হচ্ছে।দ্রুত এই জিপিএস ট্র্যাকার বসানোর কাজ সম্পন্ন করতে চায় প্রশাসন।আশা করা হচ্ছে বালি খাদান থেকে বালি তুলে পাচারের কারবার পুরোপুরি রদ করা যাবে।