রাজ্যের খবর

গোবিন্দ ভোগের ফলন মার খাচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ পাশে প্রশাসন

Govinda Bhog rice

The Truth of Bengal: বাসমতী,যার অর্থ সুগন্ধি। এই ধান ভারত এবং পাকিস্তানে মূলতঃ চাষ হয়। হিমালয়ের পাদদেশে থাকা  হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ  জম্মু ও কাশ্মীরে এই বাসমতীর  চাষ হয়। অ্যারোমেটিক রাইসেস  নামে একটি বইয়ে লেখা হয়েছে মহেঞ্জোদড়ো সভ্যতার খননের সময় এই চালের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ফলে এই ধানের উৎপত্তি যে প্রাচীন ভারতেই, তাতে সন্দেহ নেই। বাংলায় বিশেষতঃ বাসমতী চাষ হয় বর্ধমানে। সুগন্ধ ছড়ানো সেই বাসমতীক চাষ করতে গিয়ে এখন শস্যগোলার কৃষকদের ঘুম ছুটছে। কারণ এখন বেড়েছে পোকার উত্পাত। গোবিন্দভোগ থেকে বিরিয়ানি,বাসন্তী পোলাও বা ফ্রায়েড রাইস বা পায়েস  তৈরি করা হয়।

স্বাদে-গন্ধে এই চালের কোনও তুলনা নেই। গন্ধের রাজা,পাতের আভিজাত্য বাড়ানো সেই চাল মার খাচ্ছে,শোষকপোকার জন্য।কষ্ট করে দামী চালের চাষ করেও দর মিলবে কিনা তাই নিয়ে সংশয়ের  মধ্যে রয়েছেন কৃষকরাই।কৃষিবিজ্ঞানীরা বলেন, সাধারণ চালের থেকে সুগন্ধি চাল প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের পরিমাণও অনেক বেশি। ফলে বলা স্বাদে-গুণে এই বর্ধমানের চাল সবাইকে টেক্কা দেয়। ভারত তথা সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে সুগন্ধি চাল হিসেবে বাসমতি চালের উৎপাদন ও জনপ্রিয়তা সব দিক থেকেই বেশি। প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

জেলার বাইরে এই গোবিন্দ ভোগ চালের জনপ্রিয়তা  রয়েছে।বাড়ি থেকে রেস্টুরেন্ট সর্বত্র গোবিন্দভোগের কদর রয়েছে। ফ্লেভারে অতুলনীয় এই চাল থেকে নিত্যনতুন পদ তৈরি করা হয়। খাবারের থালিতে কৌলিন্য বাড়ানো এই গোবিন্দভোগই এখন শোষকের আক্রমণের শিকার। গাছ থাকলেও ধানের মূল উপাদান খেয়ে ফাঁক করে দিচ্ছে শোষকরা। পোকার এই বাড়বাড়ন্তে প্রমাদ গুণছেন অন্নদাতারা। এখন ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়া উপায় নেই। কৃষি দফতর রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করছে। বড়সড় ধাক্কা সামলাতে কৃষকরা প্রয়োজনে বাংলা শস্য বীমার সাহায্যও নিতে চান।

Free Access

Related Articles